সমগ্র বিশ্বকে করোনা মুক্ত করতে ভ্যাকসিনের খরচ বহন করতে চান বিল গেটস
নিউইয়র্ক: করোনার প্রকোপে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। প্রতিষেধক তৈরি না হওয়ায় কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কার্যকরী প্রতিষেধক না আসা পর্যন্ত পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। ইতোমধ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে সেটি বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো পাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কিন্তু এই সংশয় দূর করলেন বিল গেটস। তিনি ঘোষণা দিলেন, করোনার সম্ভাব্য কার্যকরী ভ্যাকসিনের কোটি কোটি ডোজ উৎপাদনের ব্যয় বহন করবেন তিনি ও তাঁর ফাউন্ডেশন।
বিশ্বের আশাব্যাঞ্জক ভ্যাকসিনগুলোর দিকে নজর রাখছেন তিনি। চূড়ান্ত পরীক্ষায় সফল হওয়ার আগেই উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। নিম্ন-আয়ের দেশগুলির জন্য সম্ভাব্য ভ্যাকসিন কেনার জন্য ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা করতে চান বিল গেটস। তিনি বলেন, করোনার কার্যকরী ভ্যাকসিন বাজারে এলে তা গাভি দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের বৃহৎ পরিসরের সরবরাহ কাজে ১.৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা করবে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
বিল গেটস বলেন, এই কাজে ব্যয়ের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, করোনার কিছু ভ্যাকসিনের একটি ডোজের দাম ৪ থেকে ১৫ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
বিল গেটস বলেন, পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে এমন আটটি ভ্যাকসিনকে আশাব্যাঞ্জক হিসেবে দেখছেন তিনি। মার্কিন এই ধনকুবের বলেন, আমরা এগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। যদি চূড়ান্ত পরীক্ষায় সফল হয় তাহলে আমরা এগুলির দিকে নজর দেব।