Thursday, April 25, 2024
দেশ

মুসলিমদের শেষকৃত্যে লাউডস্পিকারে আজান নিষিদ্ধ করল পুরসভা

পানাজি: গোয়ার রাজধানী পানাজিতে মুসলিমদের শেষকৃত্যের সময় লাউডস্পিকারে আজান দেওয়া নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করল পানাজি পুরসভা। সম্প্রতি পানাজি পুরসভার তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শহরের শান্ত পরিবেশ বজায় রাখতে এখন থেকে মুসলিমদের শেষকৃত্যে আর লাউডস্পিকার আজান বাজানো যাবে না। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই  শুরু হয়েছে বিতর্ক। পুরসভার এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ মুসলিম সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, শেষকৃত্যের সময় লাউডস্পিকারে আজান নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে গোয়ার বিজেপি সরকার।

আজান নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে এই রীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গায়ক সোনু নিগম। বিখ্যাত এই গায়কের প্রশ্ন ছিল, তিনি মুসলিম ধর্মালম্বী নন। তবু রোজ সকালে আজান শুনে কেন ঘুম ভাঙবে? সোনু নিগমের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয়। মা্মলা হয় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টেও। আদালত অবশ্য গায়ককেই সমর্থন করে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, আজান ইসলামের অঙ্গ। কিন্তু, তার জন্য তার জন্য লাউডস্পিকার বাজানো বাধ্যতামূলক নয়।

ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় বলেন, ‘প্রতিটা দেওয়ালীর আগেই লড়াই শুরু হয় বাজি থেকে হওয়া শব্দ দূষণ নিয়ে। বাজি ফাটানো হয় বছরের কয়েকটা দিন। কিন্তু লাউড স্পীকারে ভোর সাড়ে চারটের সময়ে যে আজান দেওয়া হয়, তা নিয়ে কেউ লড়াই করে না।’

লাউডস্পিকার আজানের বিরোধিতা করেছিলেন অভিনেত্রী-গায়িকা সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তিও। সুচিত্রা তার টুইটারে লিখেছেন, ‘ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে বাড়িতে ফিরেছি। কিন্তু আজানের তীব্র শব্দে কানে তালা লেগে যাওয়ার উপক্রম। জোর করে ধর্মকে চাপিয়ে দেয়া অযৌক্তিক।’

আদালত নির্দেশ দিলেও প্রশাসনিকভাবে দেশের কোথাও আজান নিষিদ্ধও করা হয়নি। এই প্রথমবার আজান নিষিদ্ধ পশ্চিম ভারতের রাজ্য গোয়ার পানাজি পুরসভা।