দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন ১৮০০ তৃণমূল কর্মী
হুগলি: ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের চিন্তা বাড়িয়ে দিল বিজেপি। রবিবার হুগলির মশাটের বিজেপির জনসভায় দিলীপ ঘোষের হাত ধরে প্রায় ১৮০০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন বিজেপিতে। ফলে তৃণমূল যেমন বড়সড় ধাক্কা খেল এই দলবদলে, তেমনই বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হল লোকসভা ভোটের আগে। তৃণমূলত্যাগীদের হাতে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিনের জনসভায় হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, মহিলা মোর্চা সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের জনসভা থেকে তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। দুর্গাপুরের তৃণমূল বিধায়ককে আক্রমণ করতে গিয়ে হুঁশিয়ারির সুরে দিলীপবাবু বলেন, মেরে ছ’মাস হাসপাতালে পাঠাব কেন, এখানেই দফারফা হয়ে যাক। আমরাও চাইলে পালটা মার দিতে পারি, পঞ্চায়েতের সময়ে দু-এক জায়গায় সেটা করে দেখিয়েছি। যদি মারামারি করতে চান, তাহলে হাত থাকতে মুখে কেন?
From Mosat Bazar, (Shreerampore Org. District) while addressing a Public Meeting.
Protesting the infighting & corruption within TMC,1800 workers from TMC joined #BJPFamily . pic.twitter.com/E8ANSburnZ— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) 18 November 2018
এই সভার পরে ফেরার পথেই বিজেপি নেতা জয়ের গাড়ির উপরে হামলা হয়। হুগলির কালীতলায় কালো পতাকা হাতে একদল বিজেপি নেতা জয়ের পথ আটকায়। বাঁশ দিয়ে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির পিছনের কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। গুরুতর আঘাত লাগে জয়ের। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজেপি জানিয়েছে, তাঁদের মোট পাঁচটি গাড়িতে হামলা চালানো হয়। জয় ছাড়াও দলের কয়েকজন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। হুগলির তৃণমূল তেলা সভাপতি তথা কৃষি বিপণনমন্ত্রী তপন দাশগুপ্তের প্ররোচনায় এই হামলা চলেছে বলে অভিযোগ।
তবে তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনা বিজেপির সাজানো নাটক। তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, বিজেপির রথযাত্রা না শ্মশানযাত্রা হবে। তার জন্যই বাজার গরম করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।