আবারও জলে ভাসতে চলেছে টাইটানিক
ক্যানবেরা: অস্ট্রেলিয়ার খনি ব্যবসায়ী ক্লাইভ পামার টাইটানিক জাহাজের আদলে নির্মাণ করছেন ‘টাইটানিক ২’। আগামী ২০২২ সালেই সমুদ্রপথে যাত্রা করবে এটি। ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার পথে হিমশৈলে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ, টাইটানিক।
ক্লাইভ পামার ২০১২ সালেই পামার তাঁর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘টাইটানিক ২’ নির্মাণের কাজ ২০১৬ সাল নাগাদ শেষ হবে। কিন্তু ২০১৫ সালে পামার তাঁর চিনের ব্যবসা নিয়ে কিছু সমস্যায় পড়ায় সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে ‘টাইটানিক ২’-এর কাজ।
অবশেষে টাইটানিকের ১১০তম বার্ষিকীতে রূপ পেতে চলেছে ‘টাইটানিক ২’ প্রকল্প। ‘টাইটানিক ২’ প্রথমে দুবাই থেকে ইংল্যান্ডের সাদাম্পটনে পৌঁছবে। তারপর পুরনো টাইটানিকের রুট ধরেই সে পাড়ি দেবে আটলান্তিক। ডুবে যাওয়া টাইটানিকের জন্য নির্ধারিত রাস্তা ধরেই তা পৌঁছবে নিউ ইয়র্কে।
An exact replica of the Titanic will set sail in 2022 pic.twitter.com/1gAnYjDV9s
— NowThis (@nowthisnews) 15 November 2018
‘টাইটানিক ২’-এ ২৪০০ যাত্রীর ব্যবস্থা থাকবে। এর বাইরে ক্রু মেম্বার থাকবেন ৯০০ জন। পুরনো টাইটানিক ছিল কয়লা-চালিত তবে ‘টাইটানিক ২’ তা হচ্ছে না। হবে ডিজেল-চালিত। তবে আদি টাইটানিকের মতো চারটি চিমনি অপরিবর্তিত থাকছে। জাহাজটি ২৭০ মিটার লম্বা, ৫৩ মিটার চওড়া। ওজন ৪ কোটি টন। প্রকল্পে মোট খরচ হচ্ছে ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড।
৯ তলার এই জাহাজে থাকছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাড, টার্কিশ বাথ, জিম, ৮৪০টি কেবিন। থাকছে সাবেক টাইটানিকের মতো ফার্স্ট, সেকেন্ড ও থার্ড ক্লাসের টিকিট। প্রতি যাত্রীর জন্য থাকছে লাইফবোট। এছাড়া জাহাজে থাকছে জিপিএস সিস্টেমের মতো নানাবিধ সুযোগ সুবিধা।