আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে তালিবানদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ভারত
নয়াদিল্লি: এই প্রথমবার মস্কোতে বৈঠকে অংশগ্রহণের মাঝেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তালিবানের সঙ্গে কথা বলতে চলেছে ভারত। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, সরকারি তরফে নয়, একদমই বেসরকারি উদ্যোগেই মস্কোতে হতে চলেছে এই বৈঠক। শুক্রবার এই বৈঠকের আয়োজন করেছে রাশিয়া। যেখানে আফগানিস্তানে শান্তির বিষয়ে আলোচনা করা হবে এবং অংশগ্রহণে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারত, আমেরিকা, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান এবং চিনকে। বৈঠকে অংশগ্রহণ করবে তালিবানও। ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে সেখানে উপস্থিত থাকবেন কূটনীতিবিদ টিসিএ রাঘবন ও অমর সিং।
বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করছে রাশিয়া। আফগানিস্তানের শান্তি এবং পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ভারত বরাবরই সম্পূর্ণ সহায়তা করে এসেছে। আফগানিস্তানের মানুষ এবং সরকারের নেতৃত্বেই সেখানে শান্তি ফেরানোর পক্ষপাতী আমরা। তবে এটি সরকারি স্তরে নয়, আলোচনাকে রাখা হবে ট্র্যাক টু-এর কাঠামোয়। জানানো হয়েছে, বৈঠকে ভারত সরকারি ভাবে নয়, ‘নন অফিশিয়াল’ স্তরে যোগ দেবে।
If any process is consistent with our policy on Afghanistan then we will be part of it. We have made it clear already that our participation is at a non-official level. Don’t know how ppl concluding there will be talks with the Taliban, its a meeting on Afghanistan in Moscow: MEA
— ANI (@ANI) 9 November 2018
গত মাসেই ভারত সফরে এসেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সূত্রের খবর, তখনই এই শান্তি বৈঠকের ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিলেন পুতিন। যদিও বিদেশমন্ত্রকের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। কেন্দ্রের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, আফগান ইস্যুতে তালিবানদের সঙ্গে বেসরকারি বৈঠক বসতে পারলে, কাশ্মীর ইস্যুতে বৈঠকে বসতে সরকারের এত আপত্তি কেন?
If “non-official” participation in a dialogue that includes the taliban is acceptable to the Modi government why not a “non-official” dialogue with non-mainstream stake holders in J&K? Why not a “non-official” dialogue centered around J&K’s eroded autonomy & its restoration? https://t.co/722SrqKkvo
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) 8 November 2018
রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা স্পুতনিক জানিয়েছে, এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য কাজাখাস্তান, কিরঘিজিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এদিকে যখন শান্তি ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে, অন্যদিকে তখন আফগান সরকার জানিয়েছে, দেশের মধ্য এবং পূর্বাঞ্চলে তালিবানি হামলায় নিহত হয়েছে ১৩ জন পুলিশকর্মী। তবে শান্তির বার্তা দিয়ে আমেরিকার অনুরোধে আফগান তালিবানের প্রাক্তন উপপ্রধান মোল্লা আব্দুল গনি বারাদরকে জেলমুক্ত করেছে পাক সরকার। বৃহস্পতিবারই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের জেল থেকে।