Tuesday, May 7, 2024
জীবনযাপন

প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলার রয়েছে যেমন এর স্বাদ, তেমনই পুষ্টিগুণ। কলা মানসিক চাপ কমায়। মনটাকেও সতেজ করে তোলে। আসুন দেখে নেওয়া যাক কী কী কারণে নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়: কলার মধ্যে উপস্থিত পটাসিয়াম সাধারণত হার্টের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। ব্লাড প্রেশার লেভেলও ঠিক থাকে।

ক্লান্তি দূর করে: রাতের ক্লান্তি দিনেও কাটেনি। ঘুম কম হয়েছে। কলা হতে পারে আপনার ক্লান্তির সমাধান।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে কলা: কলার মধ্যে এমন অনেক প্রকার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষ উপকারী।  তাই সারা বিশ্বের চিকিৎসকরা কলা খাওয়ার উপর বিশেষ জোর দিতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: কলার মধ্যে ফাইবারের উপস্থিতি মানবদেহের পাচন ক্ষমতাকে উন্নত করে। তাই যাঁরা বদহজমের সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য কলা খুব উপকারী।

হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখে: কলায় রয়েছে ভিটামিন বি৬। যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখেত সাহায্য করে।

এনার্জি বাড়ায়: কলার মধ্যে যেহেতু ক্যালোরি ভরপুর তাই এটি এনার্জি বুস্টার হিসাবেও কাজ করে। যে কোনও খেলোয়াড়রা কিংবা যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাঁরা খেলার মাঝে বা ব্যায়ামের মাঝে কলা খেয়ে থাকেন এনার্জি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে।

হাঁপানি প্রতিরোধ করে: কলার মধ্যে কিছু এমন অ্যান্টি অ্যালার্জিক উপাদান আছে যা হাঁপানি কমাতে বিশেষ উপকারী। তাই যাঁরা দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের চিকিৎসকরা নিয়মিত কলা খাওয়ার নির্দেশ দেন।

এখানেই শেষ নয়, কলা ত্বক ভাল রাখতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি কলার সাহায্যে বানানো মাস্ক মুখে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি স্কিন ময়েশ্চারাইজের কাজও মেটে। রেহাই মিলবে জেদি ব্রণ ও অ্যাকনের হাত থেকে। একটি মাঝারি মাপের কলার পুষ্টিমূল্য প্রচুর। এতে থাকে ক্যালোরি (১০৫), ফ্যাট (০.৪ গ্রাম), সোডিয়াম (১.২ গ্রাম), পটাসিয়াম (৪২২.৪ মি.গ্রা), কার্বোহাইট্রেড (২৭ গ্রাম), প্রোটিন (১.৩ গ্রাম)।