মমতার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে গরহাজির বনমন্ত্রী রাজীব-সহ ৪ মন্ত্রী, জল্পনা তুঙ্গে
কলকাতা: একের পর এক নেতার দলত্যাগের ফলে আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে যথেষ্ট চাপে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এবার এক, দুই নয়, মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির ছিলেন ৪ জন মন্ত্রী। তাঁরা হলেন- বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee), মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা (Chandranath Singha) এবং উত্তরবঙ্গের দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghosh) ও গৌতম দেব (Goutam Deb)।
জানা গিয়েছে, অত্যন্ত জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল এদিন। তবে ৪ গুরুত্বপূর্ণ দফতরের ৪ মন্ত্রী অনুপস্থিত থাকেন। যার ফলে জল্পনা ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, আগাম খবর থাকা সত্ত্বেও কেন বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন ওই ৪ মন্ত্রী? যদিও তাঁদের অনুপস্থিতির পিছনে কোনও জল্পনা নেই বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, জল্পনার কোনও প্রশ্ন নেই। যাঁরা বৈঠকে ছিলেন না তাঁরা নিশ্চয়ই তাঁদের অনুপস্থিত থাকার কারণ মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।
তৃণমূল মহাসচিব এই সাফাইয়ের পরেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গরহাজির থাকা নিয়ে জল্পনা থেকেই যাচ্ছে। কেননা, সম্প্রতি বহুবার একাধিক অরাজনৈতিক সভায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি শুভেন্দুর পথ অনুসরণ করতে চলেছেন রাজীব? তাহলে এবার তিনি বিজেপির দিকে ঝুকছেন?
এদিকে, পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে এদিনের বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি তিনি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির ব্যস্ততার কারণে আসতে পারেননি তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন গৌতম দেব ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
গরহাজির থাকা আরেক মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সাফ জানিয়েছেন, গরহাজির থাকার পিছনে জল্পনার কিছু নেই। আমি তৃণমূলে আছি। আর তৃণমূলেই থাকব। ২৯ ডিসেম্বর বোলপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকার দরুণ বৈঠকে যোগ দিতে পারিনি।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ ৫ বছর ধরে।