Saturday, July 27, 2024
কলকাতা

মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের ১৫০ জন কর্মী

কলকাতা: ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগেই তৃণমূলে বড়সড় ধাক্কা। ফের মমতার দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন প্রায় ১৫০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। এদিন রাজ্য প্রদেশ কার্যালয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে প্রায় ১৫০ জন ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করলেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মুকুল রায়। বিজেপি পরিবারের সাথে যুক্ত হবার তাদেরকে শুভেচ্ছা ও গৈরিক অভিনন্দন জানায় বিজেপি নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশে ভোটে জিততে কংগ্রেস যেমন গো-ভজনায় মেতেছে, ঠিক তেমনই বাংলায় মানুষের মন পেতে তারা যে মুসলিম বিরোধী নয়, তা বোঝাতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। দলের একেবারে সর্ব্বোচ্চ স্তরে এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে সম্প্রতি। আগামী লোকসভা ভোটের আগেই যত বেশি সম্ভব সংখ্যালঘুদের দলে টানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ছ’মাসে বিভিন্ন জেলায় যতজন গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন তার অন্তত ৫০% সংখ্যালঘু। পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত তিন হাজার সংখ্যালঘু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নদিয়ায়। ইসলামপুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরীকেও বিজেপি নিজেদের শিবিরে টেনে নিয়েছে। বিজেপির দাবি, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে সব মিলিয়ে প্রায় দশ হাজারের বেশি মানুষ কংগ্রেস এবং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন।

বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার দাবি, মোদী সরকার সব থেকে বেশি কাজ করছে সংখ্যালঘুদের জন্যই। সেটা এ রাজ্যের সংখ্যালঘুরাও বুঝেছেন। তাই তাঁরা দলে দলে বিজেপিতে যোগদান করছেন। বিজেপির অন্দরের খবর, মুকুল রায় বিজেপিতে নাম লেখানোর পর থেকেই নিয়ম করে দিল্লির নেতাদের বুঝিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের পুরোপুরি দূরে ঠেলে রেখে বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। মুকুলের ‘ছকে’ দেওয়া এই কৌশল মেনে নিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও।