Friday, March 21, 2025
Latestদেশ

‘হোলি বছরে একবার আসে, জুম্মার নামাজ ৫২ বার, রঙ পছন্দ না করলে ঘরে থাকুন’, বার্তা যোগী আদিত্যনাথের 

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সম্প্রতি হোলি ও জুম্মার নামাজ নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, হোলির দিনে কেউ চাইলে বাড়িতে বসেই জুম্মার নামাজ পড়তে পারেন, মসজিদে যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। একই সঙ্গে, যারা মসজিদে যেতে চান, তাদেরও হোলির রঙ এড়িয়ে চলা উচিত নয়। তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।

যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্য

যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “সত্যকে মেনে নেওয়া উচিত।” তিনি জানান, ১৪ মার্চ, শুক্রবার হোলির দিন পড়েছে, যা বছর একবার আসে, কিন্তু জুম্মার নামাজ প্রতি সপ্তাহে ৫২ বার অনুষ্ঠিত হয়। ফলে, যারা হোলির রঙ পছন্দ করেন না, তারা চাইলে ঘরে থাকতে পারেন, আর যারা বাইরে বের হবেন, তাদের উৎসবের মেজাজকে স্বাগত জানাতে হবে।


তিনি আরও বলেন, যারা মসজিদে যেতে চান, তারা যেন সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখেন এবং উৎসবের আনন্দ থেকে নিজেদের দূরে না রাখেন। তিনি এ বিষয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, যিনি উৎসবের দিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

পুলিশ অফিসার অনুজ চৌধুরীর বক্তব্য

উত্তরপ্রদেশের সাম্ভল জেলার সার্কেল অফিসার (CO) অনুজ চৌধুরী সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, হোলি বছরে একবার আসে, কিন্তু শুক্রবারের নামাজ প্রতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়। যদি কেউ রঙের কারণে অস্বস্তি অনুভব করেন, তবে সেদিন ঘরে থাকাই ভালো। আর যারা বাইরে আসবেন, তাদের উন্মুক্ত মানসিকতা থাকা উচিত, কারণ উৎসবের উদ্দেশ্য হলো একসঙ্গে উদযাপন করা।”

তিনি আরও বলেন, হিন্দু-মুসলমান সকলের উচিত একে অপরের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখানো। তিনি মানুষকে জোর করে রঙ মাখানোর বিরুদ্ধেও সতর্ক করেছেন এবং বলেছেন, “যেমন মুসলমানরা ঈদের জন্য অপেক্ষা করেন, তেমন হিন্দুরাও হোলির জন্য অপেক্ষা করেন। উভয় ধর্মের উৎসবের মূল সুর হলো সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য। হোলিতে রঙ ও মিষ্টির মাধ্যমে মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করেন, আর ঈদে বিশেষ খাবার বানিয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করেন।”

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার উদ্যোগ

পুলিশ প্রশাসন হোলির আগে থেকেই সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। গত এক মাস ধরে শান্তি কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যাতে হোলি পালনের সময় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়।

অনুজ চৌধুরী জানিয়েছেন, উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে একে অপরের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেন, সে জন্য প্রশাসন সতর্ক নজরদারি ও শান্তিপূর্ণ আলোচনার ব্যবস্থা করেছে।