সিপিএম নেতার লাথিতে অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাত
কোঝিকোড়: কেরলের কোঝিকোড়ে এক মহিলা গর্ভপাতে বাধ্য হলেন। জনৈক সিপিএম নেতা তাঁর পেটে লাথি মারেন বলে অভিযোগ। পুলিশ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু, মত্ত অবস্থায় বছর ৩০-এর ওই মহিলার পেটে লাথি মারায় মাটিতে পড়ে যান তিনি। এরপর রক্তপাত শুরু হলে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপতালে ভর্তি করা হয়। তড়িঘড়ি গর্ভপাত করে এরপর রক্ষা করা হয় ওই মহিলার প্রাণ।
Woman forced to undergo abortion after being allegedly kicked in the stomach by a CPM leader in Kerala’s Kozhikode. Police have registered case pic.twitter.com/7FzDvAyFRQ
— ANI (@ANI) 15 February 2018
জানা যাচ্ছে, কেরলের ওই মহিলার ৫ বছরের এক ছেলে রয়েছে। সম্প্রতি প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁদের ঝামেলা শুরু হয়। ওই ঝামেলার সময় মহিলার স্বামীকে অপমান করা হয়। সেখানে হাজির ২ সিপিএম নেতার সঙ্গেও এরপর ওই মহিলার স্বামীর গন্ডগোল বাধে। প্রকাশ্যে তাঁর স্বামীকে অপমান করা হচ্ছে, তা দেখেই সেখানে হাজির হন ওই মহিলা। এরপরই থামবি নামে ওই সিপিএম নেতা সংশ্লিষ্ঠ মহিলার পেটে লাথি মারেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলার রক্তপাত শুরু হলে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গর্ভপাত করিয়ে রক্ষা করা হয় মহিলার প্রাণ। গর্ভপাতের পর মাভুরে সদ্যোজাতের শেষ কাজ সম্পন্ন করা হয় বলে খবর।
অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় সিপিএম নেতা। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত সিপিএম নেতা এখনও ফেরার। আক্রান্ত মহিলার পরিবারের সদস্যদের দাবি, অভিযুক্তর পরিচয় ফাঁস না করার জন্য তাঁদের চাপ দিচ্ছে স্থানীয় সিপিএম। মামলা প্রত্যাহারের জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে, ওই মহিলার স্বামী শিবুবাবুর পা কেটে নেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
কিন্তু পরিবারটি জানিয়েছে, ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বে তারা। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের ওপর চাপ তৈরি করতে পুলিশ স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভও দেখিয়েছে।
যদিও, গোটা ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে সিপিএম-এর তরফে। ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের দলের নেতার কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করেছে স্থানীয় সিপিএম।