যুক্তরাষ্ট্রে ৪৮ ঘণ্টায় তিন হামলা, প্রশ্নের মুখে মার্কিন নিরাপত্তা
ফ্লোরিডা: যুক্তরাষ্ট্রে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পর পর তিন বার বন্দুক হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়েছেন। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে। বুধবার খোদ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সদর দফতরের বন্দুকবাজের হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ ওয়াশিংটনের ঢিল ছোড়া দূরত্বে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি বা এনএসএ’র সদর দফতে হঠাতই এক ব্যক্তি আচমকা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে৷ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন তিনজন৷
এনএসএ’র তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গুলি চালোনার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷ মুহূর্তেই ওই বন্দুকবাজকে গ্রেফতারও করা হয়৷ এদিন কী কারণে ওই ব্যক্তির গুলি চালিয়েছল, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত৷ মঙ্গলবার রাতেও বন্দুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত হল আমেরিকার নিউ অরলেন্স৷ ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় দু’জনের৷ জখম হন তিন জন৷ এদিন সকালেও আমেরিকার এই অঙ্গরাজ্যে দু’টি সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে৷ বুধবার শেষ রাতে ফ্লোরিডার একটি নামী হাইস্কুলের মধ্যে গুলি চালোনার খবর পাওয়া যায়৷ দুষ্কৃতীর ছোঁড়া এলোপাথাড়ি গুলিতে ১৭ জনের মৃত্যু ও ৫০ পড়ুয়া জখম হন৷ আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে৷
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম ঘটনাটি ঘটে ঐতিহাসিক স্থান মার্দি গ্র্যাস প্যারেডে। এখানে এক বন্দুকবাজের হামলায় একজনের মৃত্যু হয়। জখম হন দু’জন। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে একটি গোলমালকে কেন্দ্র করে। এক্ষেত্রেও এক ব্যক্তিকে আচমকা গুলি চালিয়ে বসে অন্যজন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে নিউ অরলেন্স পুলিশ। সবমিলিয়ে একদিনে আমেরিকায় বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হল মোট চারজনের৷ জখম হয়েছেন মোট ৫৫ জন।
এদিনের এই ঘটনার পর মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ লাগাতার বন্দুকবাজদের হামলা ও হতাহতের খবরে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সেদেশের বাসিন্দারা৷ কিন্তু, কী কারণে এই ঘটনা? লাগাতার কেন ঘটে চলেছে বন্দুকবাজদের দাপট? ঘটনার পেছনে কী বিলাসবহুল জীবনের বেপরোয়া মনোভাব, নাকি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ? আপাতত এই প্রশ্নগুলিই ভাবাচ্ছে মার্কিন প্রশাসনকে৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
My prayers and condolences to the families of the victims of the terrible Florida shooting. No child, teacher or anyone else should ever feel unsafe in an American school.
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) 14 February 2018