Thursday, March 28, 2024
দেশ

মুসলিমদের একাধিক বিয়েতে অনুমতি কেন? খতিয়ে দেখতে সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন সুপ্রিম কোর্টের

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: মুসলিমদের একাধিক বিয়েতে অনুমতি দেওয়া হবে কেন? এই নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা পড়েছিল। তার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, ‘সঠিক সময়ে’ মুসলিমদের একাধিক বিয়েকে নিয়ে শুনানির জন্য একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হবে।

দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চে এই পিটিশনটি উত্থাপন করেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। পিটিশন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সঠিক সময়ে একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হবে এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

আবেদনে বলা হয়েছে , একটি নির্দিষ্ট ধর্মের জন্য আইন আলাদা হতে পারে না। যখন একাধিক বিয়ে অন্য ধর্মে নিষিদ্ধ। বহুবিবাহ অসাংবিধানিক, মহিলাদের প্রতি নিপীড়নমূলক এবং সমতার বিরোধী।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী, বিবাহিত কেউ স্বামী বা স্ত্রী থাকতে দ্বিতীয় বিয়ে করলে সেই বিয়ে বাতিল বলে গণ্য করা হয়। অভিযুক্তর শাস্তি হিসাবে কারাদণ্ডের সাজা এবং জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে মুসলিমদের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হয় না। মুসলিম পার্সোনাল ল’ (শরিয়ত) অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট, ১৯৩৭-এর ২ নম্বর ধারায় একাধিক বিয়েতে মুসলিম পুরুষদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আবেদনপত্রে এই ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার আবেদন জানানো হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র এমনভাবে ফৌজদারি আইন প্রণয়ন করতে পারে না, যা বৈষম্য সৃষ্টি করে। যা কারো জন্য শাস্তিযোগ্য, অন্যের জন্য ‘আনন্দদায়ক’ হতে পারে।

পিটিশনে বলা হয়েছে, “ধর্মীয় অনুশীলনের ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাকে আলাদা করা যায় না এবং অপরাধীর জন্য প্রযোজ্য। ব্যক্তিগত আইনের সাথে কোনও সম্পর্ক না রেখে শাস্তিমূলক আইনকে অভিন্নভাবে প্রযোজ্য করতে হবে।”

আবেদনকারীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, “ধারা ৪৯৪ কেবল ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করে, যা ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪ এবং ১৫(১) লঙ্ঘন করে।”