মদ্যপানে এশিয়ায় শীর্ষে দক্ষিণ কোরিয়া

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথ্য বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার লোকজন যে পরিমাণে মদ্যপান করেন এশিয়ার অন্য কোনো দেশ তার ধারে কাছেও নেই। দক্ষিণ কোরিয়ায় ভাত থেকে তৈরি ‘সোজু’ নামের এক বিশেষ মদের জনপ্রিয়তাই এর মূল কারণ।

রিপোর্ট বলছে, এশিয়ায় সবচেয়ে কম মদ্যপান করেন পাকিস্তানিরা। রক্ষণশীল এই দেশটির জনগণ মদ্যপান করেন বললেই চলে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৫ বছরের বেশি বয়সীরা প্রতি বছর সর্বোচ্চ গড়ে ১০.৯ লিটার মদ পান করেন।

এলকোহল পানের দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার পর রয়েছে ভিয়েতনাম। উদীয়মান অর্থনীতির এই দেশটিতে মদ্যপানের হার বাড়ছে। আর ভিয়েতনামের পর এশিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড।

মঙ্গোলিয়া ও চীনের অবস্থান যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম। চীনেও মদের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার এই দেশে চাকরিতে পদোন্নতির জন্য সহকর্মীদের সাথে মদ্যপানের সংস্কৃতি রয়েছে। এর পরে লাওসের সাথে যৌথভাবে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে জাপান।

তালিকায় ভারত ও শ্রীলঙ্কার অবস্থান যথাক্রমে দশম ও একাদশতম। আর মদ্যপান ভুটানের সংস্কৃতির অংশ হওয়ার পরও দেশটির মানুষ অপেক্ষাকৃত কম মদ্যপান করেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ লাওস ও ফিলিপাইনেও মদের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। তবে সিঙ্গাপুরে মদ্যপানে কড়াকড়ি থাকায় তালিকায় তাদের অবস্থান ১২তম।

অন্যদিকে আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের গড়পড়তা একজন সারা বছরে এক বোতলের চেয়েও কম মদ্যপান করেন। ইন্দোনেশিয়ানরা বাংলাদেশিদের চেয়ে একটু বেশি পান করলেও বছরে গড়পড়তা এক বোতলের বেশি নয়।