আটকে দেওয়া হল ব্রাত্য-মলয়-ঋতব্রতকেও, আইপ্যাকের ২৩ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ত্রিপুরায়
আগরতলা: তৃতীয়বার বাংলা বিজয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের পরবর্তী টার্গেট জাতীয় স্তরে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। গোটা দেশে প্রভাব বিস্তার করতে ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় তৃণমূলের সাংগঠনিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে টিম আইপ্যাকের ২৩ সদস্য যান। কিন্তু তাদের আটকে দেয় ত্রিপুরা পুলিশ। অভিযোগ, হোটেল থেকে বেরতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। এই ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ত্রিপুরায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বুধবার সকালেই আগরতলা বিমানবন্দরে পৌঁছয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও আইএনটিটিউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় আগরতলা বিমানবন্দরে পৌঁছাতেই তাদের আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে, আইপ্যাকের ২৩ সদস্যের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন আইপিসি ১৮৮ ধারায় মামলা দায়ের করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁদের সমন পাঠানো হয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশ তাদের ১ আগস্ট ডেকে পাঠিয়েছে। মলয় ঘটক বলেন, আইপ্যাকের ২৩ সদস্যের প্রত্যেকেই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছেন। বুধবার সকালে তাদের প্রত্যেকেরই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তার পরেও কেন তাদের আটকে রাখা হয়েছে?
মলয় ঘটক বলেন, একমাত্র মমতাই পারেন ত্রিপুরায় সুদিন ফিরিয়ে আনতে। ত্রিপুরাবাসী অনেক অত্যাচার সহ্য করছে। এখানে লেনিনের মূর্তি ভাঙা হচ্ছে, পার্টি অফিস ভাঙা হচ্ছে, জোর করে মানুষের মুখ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে একটাই মুখ ভারতের প্রতিবাদীদের সাথে রয়েছে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দিনে তাঁর নেতৃত্বে ত্রিপুরার মানুষের হয়ে কাজ করবে তৃণমূল কংগ্রেস।