Thursday, April 25, 2024
আন্তর্জাতিক

ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা: টিটু রায়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর

ঢাকা: ফেসবুকে অবমাননাকর স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশের রংপুরের পাগলাপীরের ঠাকুরটারীর এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় টিটু রায়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। কোট সিএসআই মামুন জামিন না মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে টিটুরায়কে আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে টিটু রায়ের জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নরেশ চন্দ্র সরকার।

শুনানিতে নরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ফেসবুকে মহানবী সম্পর্কে যে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে তা টিটু রায় দেয়নি। তা ছাড়া ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টও টিটু রায়ের না। ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এমডি টিটুর। সে মহানবী সম্পর্কে এ  ধরনের অবমাননাকর স্ট্যাটাসও দেয়নি। তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ কারণে তাকে জামিন দেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। নরেশ চন্দ্র সরকার ছাড়াও ১০/১২ জন আইনজীবী এ জামিন শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন।

তবে এই জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে কোট সিএসআই মামুন বলেন, এখনও মামলার তদন্ত চলছে। এ অবস্থায় তাকে জামিন দেওয়া হলে তদন্তে ব্যাঘাত হতে পারে। তাছাড়া মহানবী সম্পর্কে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে। সে কারণে তিনি জামিন না দেওয়ার জন্য জোরালো আপত্তি জানান।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট উভয় পক্ষের আইনজীবিদের শুনানী শেষে টিটু রায়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার বিষয়ে শুনানী জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। পরে টিটু রায়কে কঠোর নিরাপত্বার মধ্য দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১০ নভেম্বর রংপুরের পাগলাপীর সলেয়াশাহ এলাকার টিটু রায়ের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে তার শাস্তির দাবিতে গত ১০ নভেম্বর জুমার নামাজের পর সলেয়াসা বাজার এলাকায় সমবেত হয় কয়েক শ’ মানুষ। এ সময় দুর্বৃত্তরা  রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পাগলাপীরের সলেয়াশাহ এলাকায় মানববন্ধন উত্তর বিক্ষোভে মুসল্লী-পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে হাবিবুর রহমান হাবিব নামের এক ফটুপাতের চায়ের দোকানের কর্মচারী নিহত এবং বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় তারা ঠাকুরটারি গ্রামের ১১ টি বাড়িঘরে আগুন দেয় ও ৭ টি বাড়িঘরে ভাংচুর করে।