Saturday, April 20, 2024
দেশ

বিশ্বের সব থেকে বেশি মানুষ যান স্বর্ণ মন্দিরে, জানাল ‘ওয়ার্ল্ড বুক অব রেকর্ডস’

অমৃতসর: প্রতি দিন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষের পা পড়ে অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে। প্রতিদিন প্রায় এক লক্ষ মানুষ আসেন এখানে। আর এই কারণেই ‘ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস’-এ নাম উঠে গেল অমৃতসরের প্রধান আকর্ষণ স্বর্ণ মন্দিরের।

লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড বুক অব রেকর্ডসের গত কয়েক মাস ধরে করা সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এল। শুক্রবার অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের মুখ্য সচিব রূপ সিংহের হাতে এর স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কারও তুলে দেন সংস্থাটির ভারতীয় শাখার প্রেসিডেন্ট সুরভি কউল।

সুরভি কউল জানান, তাঁদের সংস্থা প্রতি তিন মাস অন্তর এই সমীক্ষা চালায়। গত সেপ্টেম্বরের সমীক্ষায় স্বর্ণমন্দিরের নাম উঠে এসেছে। তাঁর কথায়, “প্রতি দিন অসংখ্য পুণ্যার্থী এই মন্দিরে আসেন, দিনে দিনে সেই সংখ্যাটি আরও বাড়ছে।” এর আগে ভারতের তিনটে তীর্থস্থান এই পুরস্কার পেয়েছে। সেগুলি হল শিরডি সাইবাবার মন্দির, বৈষ্ণোদেবী এবং মাউন্ট আবুর দিলওয়ারা মন্দির।

মন্দিরের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ মানুষ এই মন্দির দর্শন করতে আসেন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছ থেকে স্বর্ণ মন্দির ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। যে কারণে, সম্প্রতি পুণ্যার্থীদের ঢল আরও কয়েক গুণ বেড়েছে।

ইতিহাস মতে, ১৫০২ খ্রিষ্টাব্দে লাহোর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে জি টি রোডের ধারে এক প্রকাণ্ড জলাশয়ের ধারে, শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরুনানক একটি মন্দির গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। গুরু নানক জীবদ্দশায় তাঁর এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় নি। পঞ্চম গুরু অর্জুন ১৬০১ সালে গড়ে তোলেন আয়তাকার সরোবরের মাঝে এই হরমন্দির। জনশ্রুতি, এই সরোবরের জল অমৃতের মতোই শুদ্ধ, তাই শহরের নাম চক রামদাসপুর থেকে বদলে হয় অমৃতসর। ১৬৬১ সালে আহম্মদ শাহ দুরানি শিখদের পবিত্র এই মন্দিরটি ধ্বংস করেন। ১৭৬৪ সালে মন্দিরটি ফের নতুন করে গড়ে তোলা হয়। ঊনবিংশ শতকে রণজিৎ সিংহের উদ্যোগে মন্দিরটি পুনরায় সংস্কার করা হয়। এই সময়েই মন্দিরের উপরি ভাগ সোনায় পাতে মুড়ে দেন রণজিৎ সিংহ। আর তাই নাম বদলে হয় স্বর্ণমন্দির।