ভোটের দিন হিন্দুরা পান্তাভাত খেয়ে ঘুমায়, ভোট দিতে যায় না, মুসলিমরা ঘুঘনী-মুড়ি খেয়ে সারাদিন ভোট করে: হুমায়ূন কবীর
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের আগে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এবার বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি দাবি করেছেন, ‘২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটই পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের শেষ সুযোগ!’
টুইটে তরুণজ্যোতি তিওয়ারি লিখেছেন, “সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর প্রকাশ্যে বলেছেন— “ভোটের দিন হিন্দুরা বসে থাকে, পান্তাভাত খেয়ে ঘুমায়, ভোট দিতে যায় না। আর মুসলিম ছেলেরা ঘুঘনী-মুড়ি খেয়ে সারাদিন ভোট করে বেড়ায়। এখানেই পার্থক্য গড়ে দেবো!”
২০২৬: পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের শেষ সুযোগ!
সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর প্রকাশ্যে বলেছেন—
“ভোটের দিন হিন্দুরা বসে থাকে, পান্তাভাত খেয়ে ঘুমায়, ভোট দিতে যায় না। আর মুসলিম ছেলেরা ঘুঘনী-মুড়ি খেয়ে সারাদিন ভোট করে বেড়ায়। এখানেই পার্থক্য গড়ে দেবো!”এই বক্তব্য যতটা… pic.twitter.com/ELeqvdFaCm
— Tarunjyoti Tewari (@tjt4002) March 15, 2025
এই বক্তব্য যতটা বিস্ময়কর, ততটাই বাস্তবতা তুলে ধরে! পশ্চিমবঙ্গের ভোটের ট্রেন্ড দেখলেই বোঝা যায়, মুসলমান ভোটাররা যেভাবে ভোট দিতে সমবেত হয়, হিন্দুরা তার ধারে-কাছে নেই। হিন্দু সমাজের একটা বড় অংশ ভোটের দিনটাকে ছুটির দিন হিসেবে ধরে নিয়ে পিকনিকে বেরিয়ে পড়ে কিংবা কাছাকাছি কোনো রিসোর্টে STAYCATION কাটায়। ফলস্বরূপ, মুসলিম প্রধান এলাকায় ভোট পড়ে ৯০-১০০%, অথচ হিন্দুপ্রধান এলাকায় ভোটের হার ৬০-৬৫% পর্যন্ত নেমে আসে।
ভোট না দেওয়ার মূল্য চোকাচ্ছে হিন্দুরাই! ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক হিন্দুপ্রধান এলাকায় তৃণমূল এগিয়ে গেছে শুধুমাত্র এই কারণে যে, সেখানকার মুসলিম ভোটাররা এককাট্টা হয়ে ভোট দিয়েছে, আর হিন্দুরা অনাগ্রহ দেখিয়েছে। এমনকি কোভিডের সময়ও মুসলিম এলাকাগুলোতে ভোট পড়েছে ৯৫-১০০%, কিন্তু হিন্দু এলাকায় ভোট পড়েছে অনেক কম।
হিন্দুদের ভোট না দেওয়ার এই প্রবণতা পশ্চিমবঙ্গে এক গভীর সংকট তৈরি করেছে। মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত হিন্দুদের মধ্যে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হয়েছে—
“ভোট দিতে লাইনে দাঁড়ানো মানে মর্যাদাহানি!”
তারা ভাবে, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে গরমের মধ্যে দাঁড়ানো ‘কষ্টকর’, অথচ পাঁচ বছর ধরে অত্যাচার সহ্য করাটাই যেন ‘সহজ’!
হিন্দুরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক! গত এক দশকে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা ধীরে ধীরে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে উঠেছে। আজ দুর্গাপুজো করতে অনুমতি লাগে, রাস্তায় শঙ্খধ্বনি বাজালে আপত্তি ওঠে, রামনবমীর মিছিল করলে লাঠিচার্জ হয়। আগামী দিনে হয়তো শাঁখা-সিঁদুর পরতেও অনুমতি লাগবে!
আজ হুমায়ুন কবীররা প্রকাশ্যে ঘোষণা করছে, ভোটের মাধ্যমে তাদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করবে। তারা জানে, মুসলিম ভোট একজোট, হিন্দুরা বিভক্ত এবং অনাগ্রহী। মুসলমানরা যা চায়, সেটাই করছে। প্রশ্ন হলো— হিন্দুরা কী চায়?
২০২৬: শেষ সুযোগ!
পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৮০টি বিধানসভায় মুসলিম ভোট একচেটিয়া। বাকি আসনগুলোতেও মুসলিম ভোট যদি ৩০-৪০% হয়, তাহলেও তারা নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করে দিতে পারে, যদি হিন্দুরা ভোট দিতে না যায়!
সুতরাং, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন হিন্দুদের জন্য শেষ সুযোগ। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৮০টি বিধানসভায় মুসলিম ভোট একচেটিয়া। বাকি আসনগুলোতেও মুসলিম ভোট যদি ৩০-৪০% হয়, তাহলেও তারা নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করে দিতে পারে, যদি হিন্দুরা ভোট দিতে না যায়!
সুতরাং, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন হিন্দুদের জন্য শেষ সুযোগ।
এখনই হিন্দুরা ঠিক করুক— তারা কি নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে চায়, নাকি হাতের নাগালের সুযোগ হারিয়ে চিরতরে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে থাকতে চায়?
ভবিষ্যৎ আপনার হাতে। সিদ্ধান্ত নিন!”