Sunday, April 28, 2024
রাজ্য​

বাংলায়ও কার্যকর করা হোক নাগরিকত্ব আইন, মোদীর কাছে আর্জি শুভেন্দুর

নয়াদিল্লি: বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুপুর বারোটা নাগাদ বৈঠক শুরু হয়। তা প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে। প্রধানমন্ত্রীকে বাংলায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পেশ করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই মোদীর সঙ্গে প্রথম বৈঠক শুভেন্দুর। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু। বৈঠকের পর শুভেন্দুর অভিযোগ, বাংলায় গণতন্ত্রকে করা হচ্ছে। রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু বলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশের পাঁচটি রাজ্যে চালু হয়ে গিয়েছে। বাংলা তো আলাদা দেশ নয়, ভারতবর্ষের মধ্যেই থাকা একটা রাজ্য। রাজস্থানে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও সিএএ-কে স্বাগত জানিয়েছেন। কেউ কেউ ২১৩টা আসন জিতে ভাবছেন পশ্চিমবঙ্গ একটা আলাদা দেশ। রাজ্যের আলাদা একটা প্রধানমন্ত্রী আছে। নিজস্ব সংবিধান এবং টাকা ছাপানোর মেশিন আছে। কেউ কেউ ভাবতেই পারেন। কিন্তু আমরা যাঁরা পড়াশোনা করেছি, তাঁরা সেটা ভাবব না।


উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন এবং খ্রিস্টান শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা, ছত্তীসগড় ও পাঞ্জাবে বসবাসরত অমুসলিম শরণার্থীরাই এবল আবেদন করতে পারবেন। চৈতালি রায় পশ্চিমবঙ্গ কিংবা অসমের নাম ছিল না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে,  ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন ও ২০০৫ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ভিত্তিতে এই পাঁচ রাজ্যের অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এর সঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কোনও সম্পর্ক নেই।