যারা CAA-এর বিরোধীতা করছে, সেখানে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন আসে কি করে? শান্তনু ঠাকুর

হুগলি: নাগরিকত্ব আইন (CAA) প্রয়োগের দাবিতে এবার সুর চড়ালেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি ‘বেসুরো’ হতেই তাঁকে তৃণমূলে আহ্বান করা হয়েছে। তাহলে তিনি কি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন? সোমবার হুগলির চুঁচু্ড়ায় সুকান্ত নগর ফুটবল মাঠে মতুয়া মহাসংঘের জনসভায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর।

তিনি বলেন, আমি নাগরিকত্ব আইন চালুর পক্ষে। আমি সংসদের নিম্নকক্ষে ভোট দিয়ে এই বিল পাশ করিয়েছি। যারা সমর্থনই করছে না, তারা কি করে আমাকে চাইছে? একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া উচিৎ। ১৯৭১ সালের পরে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের  নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আমি আন্দোলন করছি।

শান্তনু ঠাকুরের প্রশ্ন, যারা এই বিলের বিরোধীতা করছে, সেখানে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন আসে কি করে? নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা যারা করছে, সেখানে আমি থাকি কি করে? আগে তারা বলুক যে তারা নাগরিকত্ব আইন সমর্থন করছে, তারপর আমরা দেখছি কি করা যায়। নাগরিকত্ব আইন সমর্থন করুক আগে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কেন সিএএ চালু করছে না? যদি বিরোধীদের ভয়ে এটা চালু করতে না পারে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের তিন কোটি নমঃশূদ্র, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ রাস্তায় নামবেন। আর কেন্দ্র সিএএ চালু করার পর যদি কিছু মানুষ হিংসা ছড়ায়, তাহলে আমরা এই নমঃশূদ্র সমাজ বাংলায় কম নেই। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে অভয় দিচ্ছি যে অশান্তি হলে তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আমাদের আছে।

উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বেঁচে থাকতে পশ্চিমবঙ্গে সিএএ চালু হতে দেবেন না।