Friday, April 19, 2024
দেশ

নারীর প্রতি যৌন সহিংসতায় শীর্ষে দিল্লি

সারা পৃথিবীতে যে সব মেগাসিটিতে মেয়েদের সবচেয়ে বেশি যৌন সহিংসতার সম্মুখীন হতে হয়, তার ওপর করা একটি জরিপে দিল্লি ও সাও পাওলো যৌথভাবে শীর্ষস্থানে এসেছে।

ধর্ষণে সবার ওপরে থাকলেও নারীদের জন্য ‘সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক’ শহরের তালিকায় দিল্লীর নাম রয়েছে চারে৷ এ তালিকায় ঢাকার অবস্থান সাত নম্বরে৷ যৌ্ন সহিংসতার বিচারে ‘নারীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ’ হিসেবে নাম এসেছে জাপানের রাজধানী টোকিওর৷

টমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন বিশ্বের মোট ১৯টি শহর জুড়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল, যে সব শহরের জনসংখ্যা এক কোটিরও বেশি।

ভারতের দিল্লি ও ব্রাজিলের সাও পাওলো, দুই শহরেই ২০১৬ সালে দু’হাজারেরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে এই জরিপ জানাচ্ছে – যা বিশ্বের অন্যান্য মেগাসিটির তুলনায় অনেক বেশি।

সার্বিকভাবে অবশ্য মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে কায়রো।

রয়টার্সের জরিপ বলছে, ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৬তে দিল্লিতে ধর্ষণের ঘটনা ৬৭% শতাংশ বেড়েছে ২০১৬তে – পুলিশই রেকর্ড করেছে ২,১৫৫টি ধর্ষণের ঘটনা।

রাস্তাঘাটে মেয়েদের উত্যক্ত করা, গণ-পরিবহনে তাদের বিরক্ত করা এখনও এ শহরে রোজকার ঘটনা। দিল্লির আধুনিক মেট্রো রেলেও তাদের নিশ্চিন্তে যাতায়াতের উপায় নেই।

ভিড়ের সুযোগ নিয়ে পুরুষরা গা ঘেঁষে দাঁড়ায়, গোপনাঙ্গ স্পর্শ করতে চায় – এ অভিজ্ঞতা তাদের সবারই হয়েছে। আবার প্রতিবাদ করলে সেই উত্যক্তকারীরাই পাল্টা চড় দেখায়, বলে আমরা কী করেছি?

দিল্লিতে সাড়াজাগানো নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পাঁচ বছর পূর্ণ হতে চলল, কিন্তু শহরে মেয়েদের ওপর যৌন সহিংসতার ছবিটা আসলে ক্রমেই আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন নির্ভয়া, পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান৷

দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল বলেন, “আসলে ভারতে ধর্ষণকারীরা ভয় পাবে এমন কোনও ব্যবস্থাই নেই। যৌন সহিংসতার ঘটনায় হাজারে হাজারে এফআইআর হচ্ছে, কিন্তু আদালতে কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় না বললেই চলে। ধর্ষণকারীরা পরিষ্কার এই বার্তাটাই পাচ্ছে, আমাদের কিচ্ছু হবে না, যা খুশি করেই আমরা পার পেয়ে যেত পারব।”