জঙ্গি থেকে সেনা হয়ে ওঠা শহিদ ল্যান্সনায়েক নাজির আহমেদকে অশোক চক্র সম্মান
নয়াদিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসে সেনা সম্মান ‘অশোক চক্র’ তুলে দেওয়া হল শহিদ জওয়ান ল্যান্সনায়ক নাজির আহমেদের স্ত্রী মহাজীবনের হাতে। রাজধানীতে এদিন ওয়ানির স্ত্রী ও মায়ের হাতে ওই সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। নিজে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে গত বছর কাশ্মীরের সোপিয়ানে এক সেনা অভিযানে ৬ জঙ্গিকে নিধন করে শহিদ হন নাজির আহমেদ। তাই তাঁকে দেওয়া হল। ওয়ানিই প্রথম কাশ্মীরি যিনি সাহসিকতার জন্য দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কারে ভূষিত হলেন।
একসময়ের জঙ্গি নাজির হাতিয়ার ছেড়ে অস্ত্র ধরেছিলেন দেশের সুরক্ষায়। পরবর্তীকালে সন্ত্রাসবাদ ছেড়ে ২০০৪ যোগ দেন টেরিটোরিয়াল আর্মিতে। সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে বীরত্বের পরিচয় দেন তিনি। নাজিরের স্ত্রী মাহাজেবিন বলেন, আমাকে যখন বলা হল ও আর নেই তখন আমি কাঁদিনি। ভেতর থেকে বেঁচে থাকার একটি শক্তি অনুভব করছিলাম যা আমাকে কাঁদতে দেয়নি।
মাহাজেবিন বলেন, আমার কাছে ও ছিল একটা মশালের মতো। গোটা পরিবারকে যত্ন করে আগলে রাখতো। খুবই ভালোবাসতো আমাকে। আসপাশের লোকজনের সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে সবসময়ে আমাকে উৎসাহ দিত। একজন শিক্ষক হিসেবে দেশের জন্য সু-নাগরিক তৈরির কাজ করছি আমি। এই সাহস-উৎসাহ আমি ওয়ানির কাছ থেকেই পাই।
Delhi: Lance Naik Nazir Ahmed Wani, who lost his life while killing 6 terrorists in an operation in Kashmir, awarded the Ashok Chakra. Award was received by his wife and mother #RepublicDay2019 pic.twitter.com/3bjYdiwTLp
— ANI (@ANI) January 26, 2019
২০০৪ সালেই জঙ্গি ডেরা থেকে পালিয়ে আসেন নাজির। আত্মসমর্পণ করে পুলিশকে নাজির বলেছিলেন, দেশের জন্য তিনি কিছু করতে চান। নাজিরের কথা বিশ্বাস করেন এক সেনা আধিকারিক। শুরু হয় তাঁর সেনা প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শেষে কাজে যোগ দেন নাজির। শুরু থেকেই অসাধারণ বীরত্ব ও সাহসিকতার পরিচয় দিতে থাকেন তিনি। একের পর এক অভিযানে গিয়ে জঙ্গি দমন করেন। সাহসিকতার জন্য ২০০৭ ও ২০১৮ সালে সেনা পদক পান তিনি। গত ২৩ নভেম্বর সোপিয়ানে এমনই এক জঙ্গি নিধন অভিযানে যান ৩৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের এই জওয়ান। ওই দিনই শহিদ হন। কিন্তু মারা যাওয়ার আগে জম্মু কাশ্মীরের সোপিয়ানে হিজবুল ও লস্কর জঙ্গিকে খতম করেন তিনি।