Friday, April 19, 2024
দেশ

দুই সন্তান নীতির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের ৩টি জনস্বার্থ মামলা

সমস্যা জর্জরিত ভারতের সকল সমস্যার মধ্যে এক নম্বর সমস্যা- জনসংখ্যা সমস্যা। তাই এবার ‘হাম দো হামারো দো’ লাগুর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল ৩টি জনস্বার্থ মামলা। আবেদনকারীদের আর্জি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত। দুই সন্তান নীতি না মানলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী অনুজ সাক্সেনা, পৃথ্বীরাজ চৌহান ও প্রিয়া শর্মা। পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করা হয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে ২০২২ সালের মধ্যে দেড়শো কোটিতে চলে যাবে ভারতের জনসংখ্যা। আগামী সপ্তাহেই জনস্বার্থ মামলাটির শুনানি। আবেদনকারীদের বক্তব্য, জনসংখ্যার চাপে বেকারত্ব, দারিদ্র, নিরক্ষরতা, রুগ্ন স্বাস্থ্য, দূষণ ও উষ্ণায়ন মাথাব্যাথ্যার কারণ হয়ে উঠেছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারিতে জনসংখ্যার বোঝা কমানোর আর্জি নিয়ে মামলা দায়ের করেন অনুপম বাজপেয়ী।

প্রসঙ্গত ২০১১-র জনগণনা অনুসারে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১২১ কোটি। এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের অনুন্নত দেশগুলোর জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এশিয়ার চিন ও ভারতের জনসংখ্যা বিশ্বের মধ্যে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে। এক জরিপে দেখা গেছে, যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ২০৫০ সাল নাগাদ জনসংখ্যা বেড়ে ভারত চিনকে ছাড়িয়ে যাবে। কারণ, বর্তমানে চীনের চেয়ে ভারতে জন্মহার বেশি ও অনিয়ন্ত্রিত। লাগামহীন জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সমাজবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ ও পরিবেশবিদরা খুবই চিন্তিত।

বিশ্বের সবচেয়ে অধিক জনসংখ্যাবহুল দেশ চিন যেভাবে কড়া হাতে জন্মনিয়ন্ত্রণে নীতিনির্দেশিকা বলবৎ করেছে, তাতে কোনও দম্পত্তি এক সন্তানের অধিক সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না। এই কঠোর নীতি চালু করায় চিনের জনসংখ্যা বর্তমানে স্থিতাবস্থায় রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে চিনের বর্তমান জনসংখ্যাও হ্রাস পাবে।