বালাকোট থেকে মৃতদেহ সরাতে কড়া ব্যবস্থা নেয় পাক সেনা, দাবি প্রত্যক্ষদর্শীর
বিশেষ প্রতিবেদন: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হানার পর নানা বিতর্কের মাঝে ধীরে ধীরে আসল সত্য বেরিয়ে আসছে। পাকিস্তান সরকার হামলার কথা অস্বীকার করলেও জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই বিমান হানার কথা স্বীকার করেছে। এবার প্রকাশ্যে এল এক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ। ইতালীয় সাংবাদিক ফ্রান্সেসা মারিনো তাঁর এক প্রতিবেদনে ওই বিমান হামলার কথা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের স্থানীয় প্রশাসনের কর্মীদের কাছ থেকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এই খবর জোগাড় করেছেন ফ্রান্সেসা মারিনো, তা প্রকাশিত হয়েছে ফার্স্ট পোস্ট-এ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষদর্শীরা মারিনোকে জানিয়েছেন, বোমাবর্ষণের পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা। কিন্তু ততক্ষণে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছিল পাক সেনাবাহিনী। পুলিশকেও ঘটনাস্থলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যাঁরা অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে এসেছিলেন, সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের মোবাইল ফোনও কেড়ে নিয়েছিল পাকিস্থানি সেনাবাহিনী।
মারিনোর দাবি, বালাকোটে জইশ ঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারতীয় যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০-এর বোমাবর্ষণের কিছু ক্ষণ পরই ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৩৫টি মৃতদেহ সরিয়ে ফেলেছিল পাক সেনা। এদের মধ্যে ১২ জন একটি তাঁবুতে ঘুমিয়ে ছিল। তাদের সবারই মৃত্যু হয়ে ওই বিমান হানায়। মৃতদের মধ্যে ছিল জইশ জঙ্গি, প্রাক্তন পাক সেনাকর্তা এবং প্রশিক্ষণ নিতে আসা আত্মঘাতী ‘ফিদায়েঁ’ সদস্যরাও।