পহেলগাঁও কান্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান, লস্কর-ই-তৈবাকে ধন্যবাদ, গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের যুবক
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন ২৬ পর্যটক। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য—ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা করেছে সন্ত্রাসবাদীরা।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আন্তর্জাতিক মহলও এই জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়েছে। এই শোকঘন আবহেই ঝাড়খণ্ডের এক যুবক ভারতের মাটিতে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান এবং লস্কর-ই-তৈয়বার প্রশংসা করলেন, যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ধৃত ব্যক্তি এবং বিতর্কিত পোস্ট
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার মিল্লাত নগর এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ নওশাদ নামক এক ব্যক্তি এক্সে বিতর্কিত পোস্ট করেন।
মহম্মদ নওশাদ লেখেন— “ধন্যবাদ পাকিস্তান, ধন্যবাদ লস্কর-ই-তৈয়বা, আল্লাহ আপনাদের সর্বদা মঙ্গল করুন, আমিন, আমিন।”
পোস্টে আরও লেখেন— “যদি আরএসএস, বজরং দল, বিজেপি আর মিডিয়াকে টার্গেট করা হত, তাহলে বেশি খুশি হতাম।” নিজেকে ‘ইসলামিক ল-ইয়ার’ বলে দাবি করে সে।
বালিডি থানার আওতাধীন এলাকা থেকে নওশাদকে গ্রেফতার করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নবীন কুমার জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি জঙ্গি সংগঠন এবং পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলার অভিযোগে বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে আছেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী মহম্মদ নওশাদ বিহারের একটি মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন। তার এক ভাই দুবাইতে থাকেন। নওশাদ তার বাবার সাথে বোকারোতে থাকেন।
জানা গেছে, অতীতেও নওশাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি উস্কানিমূলক পোস্ট করেছেন। নওশাদ ফেসবুক, এক্সে এবং ইনস্টাগ্রামে সক্রিয়।
হামলার দায় স্বীকার এবং হামলার ধরণ
ঘটনার দায় ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর ঘনিষ্ঠ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার স্থানীয় শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় জঙ্গিরা ধর্মীয় পরিচয় জেনেই হত্যা করেছে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এমন জঘন্য হামলার পরে ভারতের মাটিতে বসে কেউ কীভাবে জঙ্গি ও পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলতে পারে! The Free Press Journal