‘ধর্ষণ করেছে একজনই, বাকিদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে’, দুর্গাপুরকান্ডে জানালো পুলিশ
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: দুর্গাপুর ‘গণধর্ষণ’ কাণ্ডে এবার নতুন মোড়। নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসিফ আলিকে (Wasif Ali) গ্রেপ্তার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় তার বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বুধবার অভিযুক্তকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হবে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ৬।
দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী, যিনি ওডিশার বাসিন্দা, গত শুক্রবার রাতে সহপাঠী ওয়াসিফ আলির সঙ্গে রাতের খাবার খেতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজন তাদের পথরোধ করে। নির্যাতিতার সহপাঠীকে সরিয়ে দিয়ে মোবাইল কেড়ে নেয় তারা, এরপর ছাত্রীটিকে রাস্তা থেকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পরই তরুণীর বাবা-মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রথম দফায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে শুরু থেকেই সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ ছিল তদন্তকারীদের। তাকে আটক করে জেরা করা হচ্ছিল গত ৩ দিন ধরে।
মঙ্গলবার গ্রেপ্তারির এক ঘণ্টা আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী। তিনি জানান, “প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করেছে একজনই। অন্যদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, “সহপাঠীর ভূমিকা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। ঘটনার সময় তার পরা পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সমস্ত অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।”
এদিন দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করে। কমিশনারের দাবি, এখনো কিছু টেকনিক্যাল প্রমাণ ও ফরেন্সিক রিপোর্ট বাকি রয়েছে। সেগুলি হাতে এলে স্পষ্ট হবে, কে বা কারা ধর্ষণের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত।
অন্যদিকে, নির্যাতিতার পরিবারও সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, মেয়েটি অনিচ্ছা সত্ত্বেও সহপাঠীর সঙ্গে বাইরে গিয়েছিল, আর সেই সময়ই ঘটে যায় বিভীষিকাময় ঘটনা।


