Thursday, December 12, 2024
আন্তর্জাতিক

তিব্বতি পরিবারের এক সদস্যের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক, নির্দেশিকা জারি চিনের

বেইজিং: প্রতিটি তিব্বতি পরিবার থেকে এক সদস্যের লালফৌজে যোগদান বাধ্যতামূলক করল চিন সরকার। গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো তিব্বত সফরে যান চিনা প্রেসিডেন্ট শিং জিনপিং। তার এই সফরের পরেই এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করল বেইজিং। নির্দেশিকা অনুযায়ী, লাদাখ সীমান্তে তিব্বতিদের মোতায়েন করা হবে। চিনের এহেন সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তিব্বতিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে।

১৯৫০ সালে চিন জোর পূর্বক তিব্বত দখল করে নেয়। চিন তিব্বতি নাগরিকদের চিন বিরোধী অবস্থান সামাল দিতে চেষ্টায় কোনও কসুর করছে না। তিব্বতের উন্নয়নের জন্য বিরাট অঙ্কের বরাদ্দও করেছে। কিন্তু তিব্বতিদের অভিযোগ, চিনা বিনিয়োগের ফলে তিব্বতের নিজস্ব সংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তাই তিব্বতিদের আনুগত্য পরীক্ষা নিয়ে তরুণদের চিনা বাহিনীতে নিযুক্ত করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, তিব্বতি জওয়ানদের সারাজীবনের মতো ভারত-চিন সীমান্তে মোতায়েন করা হচ্ছে। তাঁদের অন্য কোথাও সরানো হবে না।

উল্লেখ্য, গালওয়ান সংঘর্ষের পরে চিনের বিরুদ্ধে তিব্বতি শরণার্থীদের নিয়ে কমান্ডো বাহিনী গঠন করেছে ভারত। লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে তাঁদের। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মোকাবিলার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ‘স্পেশ্যাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স’-এর সদস্যরা। তাঁদের প্রত্যেকেই তিব্বতি। তাঁরা তিব্বতের স্বাধীনতার জন্যে দালাই লামার পথ অনুসরণ করে ভারতের ধর্মশালায় আশ্রয় নিয়েছেন। ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের পর এসএফএফ গঠন করা হয়।

চিনা সেনা ১৯৫০ সালের ৬ ও ৭ অক্টোবর তিব্বত ঘিরে ফেলে। ১৯ অক্টোবরের মধ্যে তিব্বতের চামদো দখল করে নেয়। এই অভিযান সম্পর্কে চিনা সেনাপতি ঝাং গুয়োহুয়া বলেন, ৫৭০০ জন তিব্বতি নিহত হন এবং ৩০০০ জন আত্মসমর্পণ করেন।