‘ছোটোবেলা থেকে জাতীয় সঙ্গীত শুনে দাঁড়িয়ে পড়তাম’
মুম্বাই: দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে সিনেমা হলে দর্শকদের জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় উঠে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এদিকে জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় উঠে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে আরবাজ খান জানান, ‘ছোটোবেলা থেকে জাতীয় সঙ্গীত শুনে দাঁড়িয়ে পড়তাম ৷ এই অনুভব আমার ভালো লাগে ৷ তাই জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তার সঙ্গে আমার অনুভবের হেরফের হবে না ৷ আমি জাতীয় সঙ্গীত শুনলে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাবো ৷’
গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নিজের পর্যবেক্ষণে জানায় দেশপ্রেম দেখানোর জন্য সিনেমা হলে উঠে দাঁড়ানোর দরকার নেই। জাতীয় সংগীতের সময় উঠে না দাঁড়ালে কারোর দেশভক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে না। কেউ উঠে না দাঁড়ালে বা সম্মান প্রদর্শনে অনিচ্ছুক হওয়া মানেই ওই ব্যক্তি দেশদ্রোহী নয় ৷
এই বিষয়ে ট্যুইট করে কমল হাসান লেখেন, ‘সিঙ্গাপুরে প্রতি মধ্যরাতে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। সেই মডেল ভারতেও চালু করা যেতে পারে। কিন্তু যত্রতত্র জাতীয় সংগীত বাজিয়ে কারও দেশপ্রেম পরীক্ষার কোনও মানে হয় না। এরকম জোর করাও উচিত নয়।’
The reason Singapore crops up in arguments is because it is a benovelent dictatorship according to some critics. Do we we want that. No pls
— Kamal Haasan (@ikamalhaasan) October 24, 2017
Singapore plays it’s national anthem every midnight.Likewise do so on DD. Do not force or test my patriotism at various random places.
— Kamal Haasan (@ikamalhaasan) October 24, 2017
‘তেরা ইন্তেজার’-এর ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে এসে আরবাজ খানের নায়িকা সানি লিয়ন জানান, আমি মনে করি দেশপ্রেম এমন একটা আবেগ যা একেবারে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উঠে আসে। রায় যাই হোক না কেন, জাতীয় সঙ্গীত শুনলে উঠে দাঁড়ানোই উচিত।
সোনু নিগম বলেন, যে কোনও দেশের জাতীয় সঙ্গীতকেই সম্মান করা উচিত, প্রত্যেকে নিজের দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে যেভাবে শ্রদ্ধা জানান, অন্য যে কোনও দেশের জাতীয় সঙ্গীতকেও সেভাবেই সম্মান দেখান। সোনু বলেন, পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত বাজলে, পাকিস্তানিদের সঙ্গে তার ও সে দেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধায় আমিও উঠে দাঁড়াব। আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত বাজলেও আমি উঠে দাঁড়াব। কেন তাকে অসম্মান করব? আমি বাম বা ডান কিছুই নই, মধ্যপন্থী।