Sunday, September 15, 2024
রাজ্য​

CCTV ক্যামেরা না থাকার কারণেই স্বপ্নদ্বীপের খুনিরা আজও সাজা পেল না! আরজি কর কান্ডে ফের আলোচনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুরক্ষা ব্যবস্থা

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মেডিক্যাল পড়ুয়া তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে আরজি কর হাসপাতালের যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেই সেমিনার হলে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। এছাড়া অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের সিংহভাগ সিসিটিভি ক্যামেরা অচল। মেরামত না করার ফলে সিসিটিভি ক্যামেরার ছবিও স্পষ্ট নয়। 

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোর ৪টা নাগাদ আরজি কর হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দেখা গিয়েছিল। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট পর আবার তাঁকে বেরিয়ে আসতেও দেখা যায়। এই সময়ের মধ্যেই এই ন্যাক্কারজনক কান্ড ঘটিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক মৌপিয়া নন্দী টুইটে লিখেছেন, “ঘটনাচক্রে যাদবপুরকান্ডের এক বছর আজ। CCTV নিয়ে গলা ফাটিয়েছিলাম বলে অনেক ট্রোল হয়েছে। I don’t mind. আমি যা মনে করি তাই বলেছি। বলব। বলে যাব। আর জি করের ঘটনায় অপরাধী ধরা পড়েছে CCTV সূত্রেই। তাই সিসিটিভির উপযোগিতা বুঝতে মেধাবীদের সমস্যা কোথায় সেটা বুঝতে পারিনা।”


মৌপিয়া নন্দীর টুইটের কমেন্টে একজন লিখেছেন, “CCTV নিয়ে বলাতে যে সমস্ত আল্ট্রা ইটেলেকচুয়াল পাবলিকদের গায়ে ফোস্কা পড়েছিল তারা কোথায়???গঞ্জিকাসেবনে ব্যস্ত বুঝি!ব্যক্তিগত পরিসরে আঘাত লাগার ভয়ে cctv নিয়ে কত জ্ঞান শুনেছিলাম তখন।”

আরেকজন লিখেছেন, “বুঝবেন কি করে ম্যাডাম..সিসিটিভি লাগালে যে দারু বা গঞ্জিকা সেবনের কীর্তিকলাপ ধরা পড়ে যেতে পারে। আজকালকার বেশিরভাগ মেধাবী যে শুধুমাত্র মেধাবী নয়, তাঁরা চরম মেধাবী। আপনি যাদবপুর বলুন আরজিকর বলুন প্রেসিডেন্সি বলুন মেনলি ক্যাম্পাস বা হোস্টেলে পর্দার পেছনের কীর্তিকলাপ সর্বজনবিদিত।”

আরেকজন লিখেছেন, “অনেকেই সেই ছেলেটার নাম টাও ভুলে গেছে হয়তো। হায়রে নিয়তি। সিরিয়া বা আফগানিস্তান এর আইন ব্যবস্থা ও হয়তো এর থেকে ভালো। এখানে পুলিশ তো হয়তো নিজের গিন্নি ভাত বেড়ে দিলেও বলে ৫০০ টাকা দাও, খাবো।”

আরেকজন লিখেছেন, “একমাত্র টয়লেট বাদে প্রত্যেক জায়গায় সিসিটিভি বসাতে হবে।”

উল্লেখ্য, স্বপ্নদ্বীপের রহস্যমৃত্যুর সময়েও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হোস্টেলের বারান্দাতে ছিলো না সিসিটিভি ক্যামেরা। তাই সেদিন রাতে কী ঘটেছিল সেসম্পর্কে প্রকৃত তথ্য সামনে আসেনি। তারপর বারংবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে, ক্যাম্পাস, ক্লাসরুম সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর দাবি জানানো হলেও সেই দাবি পূরণ হয়নি।