মনের জোরেই এভারেস্ট জয় করলেন দৃষ্টিশক্তিহীন ঝাং
নয়াদিল্লি: ভাগ্যকে দোষারোপ না করে নিজের মনের জোড় বাড়ান। মনের জোর থাকলে যেকোনও প্রতিকূলতায় সাফল্য পাওয়া যায়। এটা ফের একবার প্রমাণ করে দেখালেন চিনের পর্বতারোহী ঝাং হং (Zhang Hong)। দৃষ্টিশক্তিহীন তিনি। তবে মনের জোরের উপর ভর করেই এভারেস্টের শিখর ছুঁয়ে ফিরলেন তিনি।
৪৬ বছর বয়সী এভারেস্টে আরোহণকারী এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বের তৃতীয় অন্ধ ব্যক্তি। দৃষ্টিশক্তিহীন পর্বতারোহী হিসাবে আমেরিকার এরিক ওয়েইহেনমায়ের সর্বপ্রথম এভারেস্ট জয় করেছিলেন ২০০১ সালে। ঝাং তাঁকেই আইডল হিসেবে মানেন। এরিকের পর অস্ট্রিয়ার এক পর্বতারোহী এভারেস্টের শিখর ছুঁয়েছিলেন।
ঝাং ২৪ মে এভারেস্টের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ (২৯ হাজার ৩১ ফুট (৮৮৪৮.৮৬ মিটার) ছুঁয়ে নিরাপদে কাঠমান্ডু ফিরে আসেন। বিরল এই কীর্তির পর ঝাং হং পরবর্তী লক্ষ্যও স্থির করে ফেলেছেন। তিনি বলেন, এবার প্রতিটা মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করবেন। কাজটা সহজ নয়। আবার তাঁর কাছে অসম্ভবও নয়।
ঝাং বলেন, আপনি পঙ্গু নাকি স্বাভাবিক, সেটি কোনো বিষয় নয়। আপনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন অথবা আপনার হাত বা পা নেই, এটিও কোনো বিষয় নয়। আসল কথা হলো, আপনার মনোবল দৃঢ় কি না। মনোবল দৃঢ় থাকলে আপনি সফল হতে পারবেন।
চিনের শহর চংকিংয়ে জন্ম ঝাংয়ের। গ্লুকোমায় ২১ বছর বয়সেই দৃষ্টিশক্তি হারান তিনি। তিব্বতের একটি হাসপাতালে কাজ করে জীবিকা চালান তিনি। অন্ধ আমেরিকান পর্বতারোহী এরিকের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ঝাং তাঁর পর্বত গাইড বন্ধু কিয়াং জি’র গত পাঁচ বছর ধরে ট্রেনিং নিয়েছেন এভারেস্ট জয়ের জন্য।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।

