‘ভারত কোনো ধর্মশালা নয়’, ট্রাম্পের ধাঁচে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে ‘অভিবাসী বিল’ পাশ লোকসভায়
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাশ হলো ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল, ২০২৫’, যা দেশের অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও কঠোর ও নিয়ন্ত্রিত করতে সাহায্য করবে। বিলটি নিয়ে আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্টভাবে জানান, যেসব ব্যক্তি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেন, তাদের ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
‘দেশ কোনও ধর্মশালা নয়’: অমিত শাহ
বিলের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, “দেশটা কোনও ধর্মশালা নয়”, অর্থাৎ যে কেউ ইচ্ছা করলেই ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, যারা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান, পর্যটক, শিক্ষার্থী, গবেষক, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী ও ব্যবসায়ী হিসেবে ভারতে আসতে চান, তাদের স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু যারা ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারেন, তাদের উপর কড়া নজর রাখা হবে এবং প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিলের গুরুত্ব ও প্রভাব
এই নতুন অভিবাসন আইন বাস্তবায়িত হলে—
- বিদেশি নাগরিকদের উপর কঠোর নজরদারি রাখা সম্ভব হবে।
- কাদের ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে এবং কতদিন তারা এখানে থাকবেন, তা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত হবে।
- দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
- অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিল নিয়ে বিতর্ক ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
বিলটি নিয়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিতর্ক চলে লোকসভায়। বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই আইন অভিবাসন নীতিকে কঠোর করে তুলতে পারে এবং নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে। অন্যদিকে, সরকার পক্ষের দাবি, বিলটি ভারতের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য জরুরি।
ভারতের অভিবাসন নীতিতে নতুন যুগের সূচনা?
‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল, ২০২৫’ পাশ হওয়ার পর ভারতের অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। এই বিল কার্যকর হলে বিদেশি নাগরিকদের উপর আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আরও জোরদার করা হবে।