কাশ্মীরের বান্দিপোরায় সেনার গুলিতে খতম লস্কর কমান্ডার আলতাফ লাল্লি
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: কাশ্মীর উপত্যকা সেনা জঙ্গি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর রক্তাক্ত হামলার পর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। খতম করা হলো লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ স্থানীয় কমান্ডার আলতাফ লাল্লিকে।
বান্দিপোরার জঙ্গলে এনকাউন্টার
শুক্রবার সকাল থেকেই বান্দিপোরার কুলনার বাজিপোরা এলাকার জঙ্গলে ভারতীয় সেনা তল্লাশি অভিযান চালায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনা জানতে পারে, ওই এলাকায় দুই জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। সেনার উপস্থিতি টের পেয়েই জঙ্গিরা হামলা চালায়। পালটা জবাব দেন নিরাপত্তারক্ষীরাও। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে দুই জওয়ান আহত হন। তবে সেই এনকাউন্টারেই খতম হয় লস্কর জঙ্গি কমান্ডার আলতাফ লাল্লি। তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পুরো এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সেনা ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী।
উধমপুরে শহিদ বাংলার ঝন্টু আলি শেখ
এর আগে ২৪ এপ্রিল উধমপুরে সেনা ও জঙ্গি লড়াইয়ে শহিদ হন বাংলার নদিয়ার বাসিন্দা ঝন্টু আলি শেখ। তিনি ভারতীয় সেনার ৬ প্যারা রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন। সংঘর্ষস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পহেলগাঁও হামলায় নিহত ২৬ পর্যটক
এর আগেই ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। সেই ঘটনায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। হামলার আগে জঙ্গিরা পর্যটকদের ধর্ম যাচাই করে বলে অভিযোগ। এই নির্মম ঘটনার পর থেকে উপত্যকায় চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। কাশ্মীর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জঙ্গিদের খোঁজে যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। অনন্তনাগ পুলিশ ঘোষণা করেছে, পহেলগাঁও হামলার ঘাতকদের সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে ২০ লাখ টাকার পুরস্কার দেওয়া হবে।
সক্রিয় হচ্ছে লস্কর-ই-তৈবা, সতর্ক বাহিনী
সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে স্পষ্ট, উপত্যকায় আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠন। তবে জঙ্গি কার্যকলাপ দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনী সর্বতোভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক অভিযান, এনকাউন্টার ও গোয়েন্দা তৎপরতায় ধরা পড়ছে বহু জঙ্গির গতিবিধি। সেনা, পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী একযোগে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উপত্যকাকে আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে।