জম্মুতে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ পশ্চিমবঙ্গের ঝন্টু আলি শেখ
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগামে রক্তাক্ত জঙ্গি হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রণক্ষেত্র হয়ে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর। পহেলগামের বৈসরন ভ্যালিতে ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হানায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার পর থেকেই উপত্যকাজুড়ে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি। তৎপর হয়েছে ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
এই প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার সকালে জম্মুর উধমপুর জেলার ডুডু-বসন্তগড় এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযানের মাঝেই জঙ্গিদের গুলির মুখে পড়ে সেনা জওয়ানরা। শুরু হয় ব্যাপক গুলির লড়াই। সেই সংঘর্ষে শহিদ হন নদিয়ার ঝন্টু আলি শেখ। তিনি ৬ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের (৬ প্যারা SF) সদস্য ছিলেন।
জানা গেছে, ঝন্টু শেখ নদিয়ার তেহট্ট ব্লকের পাথরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। সাহসিকতার সঙ্গে দেশের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালের সেই গুলির লড়াইয়ে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করলেন দেশের জন্য।
প্রসঙ্গত, বৈসরন হামলার পর উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে জারি হয়েছে সতর্কতা। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে সেনার বাড়তি নজরদারি ও কড়া তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বৈসরন থেকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গোটা অঞ্চল জুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান।
সেনা-পুলিশের যৌথ তৎপরতায় একদিকে যেমন জঙ্গি দমন অভিযান জোরদার হয়েছে, অন্যদিকে আবার এই ধরনের প্রাণহানির ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে শহিদ জওয়ানের পরিবারে। ঝন্টু শেখের শহিদ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই নদিয়ার পাথরঘাটা গ্রামে নেমে আসে গভীর শোক।
দেশের মাটিতে শান্তি ও স্থিতি রক্ষায় যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেন, তাঁদের ত্যাগ কোনো দিন ভোলার নয়। ঝন্টু আলি শেখ সেই তালিকায় যুক্ত হলেন এক অনন্য সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে।