Friday, May 17, 2024
দেশ

মেয়েরা বাবার মৃতদেহে কাঁধ দেওয়ায় পরিবারকে একঘরে করল খাপ পঞ্চায়েত

কোটা:  দাদা বা ভাই না থাকায় বাবার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর মৃত্যুর পর শেষযাত্রায় অংশ নিয়েছিল চারমেয়ে। চারমেয়েই কাঁধে চাপিয়ে বাবার মৃতদেহ নিয়ে গিয়েছিল শ্মশানে। সেকারণে তাদের একঘরে করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল খাপ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বুন্দির রেজার কলোনির।

শনিবার রাতে দুর্গাশঙ্কর টেইলর (৫৮) নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁর ছেলে ছিল না। তাই দুর্গাশঙ্করের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে শ্মশানে গিয়েছিল মেয়েরাই। দুর্গাশঙ্করের বড় মেয়ে মীনা জানিয়েছেন, আমাদের কোনও ভাই নেই। তাই বাবার শেষ ইচ্ছানুযায়ী আমরা চার বোন তাঁর দেহ কাঁধে নিয়ে শেষকৃত্যের জন্য যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।

অভিযোগ, শ্মশান থেকে ফেরার পর তাদের সমাজচ্যুত করার নিদান দেয় খাপ পঞ্চায়েত। অঞ্চলের সবাই শেষকৃত্যের পর যেখানে স্নান করেন, সেখানে তাদের যেতে দেওয়া হয়নি। ফলে বাড়িতেই তাদের স্নান করতে হয়। প্রথা অনুযায়ী কারও মৃত্যু হলে সেদিন সংশ্লিষ্ট বাড়িতে রান্না হয় না। প্রতিবেশীরাই খাবার দেন। কিন্তু আমাদের কেউ খাবার দেয়নি।

মীনার ছোট বোন বিএ পাঠরতা কলাবতী বলেন, বাবার শেষ ইচ্ছা ছিল, আমরা যেন তাঁর শবদেহতে কাঁধ দিই। আমরা বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করেছি। আমরা কোনও অপরাধ তো করিনি।

মীনাদের মামা টিকম চন্দ জানিয়েছেন, শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পরে আমরা খাপ পঞ্চায়েতের সদস্যদের কাছে ক্ষমাও চাই। কিন্তু তাঁরা অনড় ছিলেন। শিক্ষিত কয়েকজন ছাড়া আমাদের সঙ্গে আর কেউ শ্মশানে যাননি।