Thursday, April 25, 2024
দেশ

কর্ণাটক বিধানসভায় পাস ধর্মান্তর বিরোধী বিল

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: কর্ণাটকের বিধানসভায় পাস হয়ে গেল ধর্মান্তর বিরোধী বিল। কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বিলটি উত্থাপন করেন। এরপরেই বিধানসভা ব্যাপক বিক্ষোভ ও হট্টগোল শুরু হয়। বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যেই বিধানসভায় বিলটি পাস হয়ে যায়।

বিলটি বিধানসভায় উত্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয় একাধিক সংগঠন। তীব্র প্রতিবাদ জানায় কংগ্রেস। কিন্তু বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও বিলটি বিধানসভায় পাস হয়ে গেল। ২০২৩ সালেই কর্ণাটকে বিধানসভা ভোট। ভোটের আগে এই বিল বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।

বিলটির পক্ষে সওয়াল করেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী জে সি মধুস্বামী। কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার বিধানসভায় বিলের কাগজটি ছুঁড়ে ফেলে দেন। কংগ্রেস সদস্যরা বিলটির তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “এই আইনটি সংবিধান বিরোধী এবং তাই আমরা এটির বিরোধিতা করছি। রাজ্যে শান্তি বিঘ্নিত করার এবং রাজনৈতিক কারণে জনসাধারণের মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

ডি কে শিবকুমার বলেন, “লোকেরা আমাদের দেশকে সম্মান করে কারণ এটি ধর্মনিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ। এখানে সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

বিরোধী নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, “আমরা বিলটির বিরোধিতা করছি। কারণ এটি মৌলিক অধিকার এবং সংবিধান লঙ্ঘন করে। এটি ব্যক্তির অধিকার লঙ্ঘন করে।”

উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটের পর কর্ণাটক চতুর্থ বিজেপি শাসিত রাজ্য যেখানে ‘লাভ জিহাদ’ মোকাবেলার জন্য জোর করে ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে আইন পাস করা হয়েছে।

বিজেপির দাবি, ধর্মান্তর বিরোধী বিল ধর্মের স্বাধীনতার অধিকারকে রক্ষা করবে। ভুয়ো ধর্মীয় পরিচয় দেওয়া, বলপ্রয়োগ, অযাচিত প্রভাব, জবরদস্তি, প্রলোভন বা যে কোনও প্রতারণামূলক উপায়ে এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে বেআইনি ধর্মান্তর বদ্ধ করবে। এই বিলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা সহ তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক, মহিলা, এসসি/এসটি-দের ধর্মান্তরকরণ করলে অপরাধীদের তিন থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। প্রস্তাবিত বিলে অভিযুক্তদের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।