Thursday, March 28, 2024
দেশ

দোকানিরা নিতে চাইছেন না খুচরো, কয়েন উৎপাদন বন্ধ করল কেন্দ্র

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের নোট বাতলের পরেই টাকার যোগান সামাল দিতে বাজারে অতিরিক্ত খুচরো কয়েন ছেড়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, আর তার জেরেই বিপদে পড়েছে সাধারণ দোকানদার থেকে শুরু করে বাজার করতে যাওয়া ব্যক্তি। সবার কাছেই খুচরোর পাহাড় জমে গেছে, যেই ব্যাঙ্ক থেকে প্যাকেট প্যাকেট খুচরো দেওয়া হয়েছিল তারাই এখন খুচরো ফেরত নিচ্ছে না। ফলে ব্যবসায়ীদের পুঁজিতে টান পড়েছে। আর এই কারণেই বাজারে চাহিদা না থাকায় দেশের সব ট্যাঁকশালে বন্ধ হয়ে গেল কয়েনের উৎপাদন। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম একসঙ্গে বন্ধ থাকছে ১ , ২ , ৫ ও ১০ টাকার কয়েনের উৎপাদন।

কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া’ মঙ্গলবার এ নিয়ে নির্দেশ জারি করেছে। যার ফলে কলকাতা, মুম্বই, হায়দরাবাদ ও নয়ডা টাঁকশালে ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার মুদ্রা তৈরি বন্ধ করা হয়েছে। নোট বাতিলের পর কয়েন রাখার ভল্টের অভাব দেখা দিয়েছে আরবিআইতে ৷ কয়েনের জন্য বরাদ্দ বেশকিছু ভল্ট বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে ভর্তি ৷ এই নোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি ৷ ফলে এই অবস্থায় কয়েনের জন্য জায়গা দিতে পারছে না আরবিআই ৷ দেশের চারটি ট্যাঁকশালেও যথেষ্ট পরিমাণে কয়েন মজুত ৷ এই মুহূর্তে খোলা বাজারেও প্রায় ৬৭৬ কোটি টাকার কয়েন রয়েছে ৷

গ্রাহকদের থেকে খুচরো নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে বারবার বলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু ব্যাঙ্কগুলি তা মানছে না বলে অভিযোগ। ব্যাঙ্কের যুক্তি, তাদের কাছে প্রচুর খুচরো জমে রয়েছে। নেওয়ার লোক নেই। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, মানুষের অভিযোগ জমা পড়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে খুচরো জমা নিতে বলেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক শাখাগুলিকেও খুচরো জমা ও বদল করতে কাউন্টার খুলতে বলা হয়েছে।