Friday, April 19, 2024
দেশ

ধর্ষিতার আত্মহত্যা, পরিবারের অভিযোগ বিচার না পাওয়ার

ভূবনেশ্বর: গণধর্ষণের একবছর পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল এক কিশোরী। গতকাল সোমবার ওড়িশার কোরাপুট জেলার সরিসাপাদার গ্রামের বাড়ি থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। সুনাবেদার SDO নরহরি নায়েক বলেন, “কিশোরীকে গুরুতর অবস্থায় কুন্দুলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।” কিশোরীর আত্মহত্যার জন্য গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে সরকারিস্তরে উদাসীনতাকেই দায়ি করেছে তার পরিবার। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে ওড়িশা কংগ্রেস ও বিজেপি।

অভিযোগ, গত বছরের ১০ অক্টোবর বাজার থেকে ফেরার পথে ক্লাস নাইনের কিশোরীকে ধর্ষণ করে ৪ নিরাপত্তা কর্মী। ওই ঘটনার পর গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে। ওড়িশা বিধানসভায় বিরোধী দলগুলি বিষয়টি তোলে। পুলিশ ও ক্রাইম ব্র্যাঞ্চকে তদন্তের নির্দেশ দেয় সরকার। যদিও পরে ওড়িশা পুলিশের হিউম্যান রাইটস প্রোটেকশান সেল জানায়, কিশোরীর বক্তব্যে সত্যতা নেই। পুলিশের তরফে কোনও প্রমাণ না পাওয়ার কথা বলা হয়।

ওড়িশা বিধানসভার কংগ্রেসের চিফ হুইপ তারাপ্রসাদ বহিনীপতি বলেন, “রাজ্য সরকার এবং ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ কিশোরীর মৃত্যুর জন্য দায়ি। ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ ঘটনায় যথাযথভাবে তদন্ত না করাতে কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। প্রকৃত সত্য প্রকাশ করার জন্য সিবিআই তদন্ত করা উচিত।”

এই ঘটনায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন, “এই কি একটি আদর্শ মুখ্যমন্ত্রীর কাজ? যদি নবীনবাবু এই মামলা সম্পর্কে একটুও সংবেদনশীল হন, তাহলে তাঁকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।”

তিনি আরও বলেন, “এমন ঘটনা ওড়িশাতে ঘটেছে। সেটাই অবাক করার মতো। রাজ্য সরকার এটিকে অগ্রাহ্য করতে চেয়েছিল। অভিযোগকারী জানিয়েছিল যে, ওড়িশা পুলিশের ডিজি চুপ থাকার জন্য তাকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।”