ফের শিরোনামে আরেক কমরেড, দলীয় নেত্রীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ফের মহিলা-ঘটিত বিতর্কে সিপিআই(এম)। এবার আরও এক গুরুতর অভিযোগের মুখে দলটি। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন আসানসোলের প্রাক্তন সিপিআই(এম) সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী। দলেরই এক মহিলানেত্রীর অভিযোগ, তিনি তার সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অশালীন ও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা পাঠিয়েছেন।
সেই চ্যাটের কিছু স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সেই স্ক্রিনশটকে হাতিয়ার করে মুর্শিদাবাদের এক নেত্রী অভিযোগ এনেছেন, প্রাক্তন সাংসদ তাঁর সঙ্গে আপত্তিকর বার্তা পাঠিয়েছেন। যদিও কলকাতা ট্রিবিউন ওই স্ক্রিনশট ও অডিও ক্লিপগুলির সত্যতা যাচাই করেনি।
ওই নেত্রীর দাবি, এক প্রাক্তন সাংসদের তরফে তাঁকে মেসেজ করাটা সম্মানজনক বলেই মনে হয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে তার আচরণ বদলাতে শুরু করে। ওই মহিলা নেত্রী জানিয়েছেন, তথ্যের সূত্রে ফেসবুক চ্যাটে তিনি তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেন বংশগোপালকে। কিন্তু সেখানেই শুরু হয় আপত্তিকর মেসেজ।
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসেই বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানান। কিন্তু অভিযোগ জানালেও এখনও পর্যন্ত বংশগোপালের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।
অন্যদিকে, সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। দলীয়ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রিপোর্ট জমা পড়লেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
অভিযুক্ত প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পালটা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘আমার কাছে কিছু সুবিধা চাইছিলেন ওই নেত্রী। না পাওয়াতেই আজ এই কুৎসা। এর পিছনে দলের ভেতরের ও বাইরের চক্রান্তকারীরা যুক্ত।’’
এই বিতর্ক নতুন নয়। এর আগেও সিপিআই(এম)-এ একাধিক নেতা এই ধরনের বিতর্কে জড়িয়েছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ, তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও উঠেছে নারী-সংক্রান্ত অভিযোগ।
একাধিকবার এমন অভিযোগ ওঠায় প্রশ্ন উঠছে, এই ধরনের ঘটনায় দলীয় ব্যবস্থা কতটা কার্যকর হচ্ছে? দলের মহিলা কর্মীদের একাংশ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছেন।
দলের অন্দরেই এই বিতর্ক নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বহু কর্মী-সমর্থক। ক্রমাগত এই ধরনের ঘটনা বাম দলের ভাবমূর্তিকে কোন খাতে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়েও উঠছে বড় প্রশ্ন।
ফিচারড ইমেজ কৃতজ্ঞতা: আনন্দবাজার