Thursday, May 2, 2024
দেশ

বিশ্ববাংলার লোগো এবং ব্র্যান্ড আমার তৈরি, মুকুলের অভিযোগের জবাব দিলেন মমতা

কলকাতা: তৃণমূল ছেডে় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সম্প্রতি ধর্মতলায় বিজেপির সভা থেকে বিশ্ববাংলার মালিকানা নিয়ে অভিযোগ তোলেন মুকুল রায়। নিজের প্রাক্তন সতীর্থ মুকুল রায়ের তোলা অভিযোগ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন বিধানসভায় মুকুলের নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, জেনে না জেনে কেউ কেউ বিশ্ববাংলার লোগো নিয়ে কুৎসা ছড়াচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন দাবি করেন, ২০১৩ সালে এই লোগো তৈরি করে তিনি তাঁর নাম ‘বিশ্ববাংলা’ দেন। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে এই লোগো সরকারের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়। বিশ্ববাংলা নামটিও তাঁরই দেওয়া।

মমতা বলেন, কোনওদিন সরকার এই লোগো এবং নাম ব্যবহার না করলে তা তাঁর কাছেই ফেরত আসবে। তিনি আরও জানান, এই লোগো এবং ব্র্যান্ড তাঁর তৈরি হলেও তিনি তা রাজ্য সরকারকে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে দিয়েছেন। এর জন্য তিনি সরকারের থেকে কোনও পয়সা নেন না। পয়সা নেওয়ার কথা তিনি দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেন না।

মুখ্যমন্ত্রী আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, বিশ্ববাংলা লোগো এবং ব্র্যান্ড তাঁর স্বপ্ন। তাঁর কথায়, ‘‘স্বপ্নের কোনও মূল্য হয় না। কেউ কেউ এটা নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে। সরকার চাইলে যতদিন খুশি এই লোগো এবং ব্র্যান্ড ব্যবহার করতে পারে।’’

মুকুল রায়ের নাম না করে মমতা বলেন, ‘‘শুধু একটা লোগো নিয়ে কেউ যদি বিশ্ববাংলাকে অপমান করে, তাহলে বাংলার মানুষ তাঁকে ক্ষমা করবেন না।’’

প্রসঙ্গত, তৃণমূল ছেডে়ই বিজেপি-তে যোগ দিয়ে মুকুল রায় অভিযোগ করে বলেন, বিশ্বকাপের আয়োজন করল বিশ্ববাংলা। বিশ্ববাংলা কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। এটা একটা কোম্পানি। মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিকানা ৩০বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। যা কিনা মুখ্যমন্ত্রীরই বাড়ির ঠিকানা। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের লোগো, লিফলেট, প্যামফ্লেট যেখানে ছাপা হয়। মালিক অভিষেক। তৃণমূল বলে জাগো বাংলা মুখপত্র। এটাও একটা কোম্পানি। মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।