কেরলের বন্যাকে ‘গুরুতর প্রাকৃতিক বিপর্যয়’ ঘোষণা কেন্দ্রের
নয়াদিল্লি: কেরলের বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় না বলে গুরুতর প্রাকৃতিক বিপর্যয় (calamity of severe nature) বলে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, তীব্রতা ও বিশালতা দেখে কেরলের বন্যাকে গুরুতর প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলা যায়। মন্ত্রক সূত্রে ঘোষণা, বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর দিয়ে কেরালার পরিস্থিতিকে গুরুতর বিপর্যয় বলে ঘোষণা করা হচ্ছে।
Breaking – The Central government declares Kerala floods as ‘Calamity of severe nature’ pic.twitter.com/Lnx42UKGrc
— Sreedhar Pillai (@sri50) 20 August 2018
কেরলে বন্যায় এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭৫ জন। ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন ১২ লাখ ৪৭ হাজার মানুষ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, আনুমানিক ১৯,৫১২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২০০০০ বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে। বন্যায় নষ্ট হয়েছে ৪০,০০০ হেক্টর জমির ফসল।
প্রসঙ্গত, কোনও বিপর্যয়কে গুরুতর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে ঘোষণা করলে সেই জায়গার ত্রাণের পূর্ণ দায়িত্ব বর্তায় কেন্দ্রের উপর। এমনকি আন্তর্জাতিক স্তরেও সাহায্য মেলে আরও বেশি করে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘোষণার ফলে কেরল সরকার বন্যা মোকাবিলায় আরও আর্থিক ও অন্য সহায়তা পাবে।
এদিকে কেরলের বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণার দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, কেরলের বন্যাকে গুরুতর প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা নীতি অনুসারে, কেরলের বন্যাকে এল থ্রি লেভেল দুর্যোগ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কোনও দুর্যোগ যত বড়ই হোক না কেন, জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে আখ্যা দেওয়ার সংস্থান নেই।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, কেরলের এলডিএফ সরকার এবং বিরোধী দল কংগ্রেস কেরলের ভয়াবহ এই বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। তবে কেন্দ্র সেই দাবি মানতে নারাজ।