‘হিংসার পিছনে মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের হাত রয়েছে’
কলকাতা: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের জেরে অশান্ত হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেনে আগুন, স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনা আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভ চরমে। বিক্ষোভে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। এই বিক্ষোভের পেছনে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের’ হাত রয়েছে বলে দাবি করছেন বিজেপির জাতীয় সচিব রাহুল সিনহা।
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাহুল সিনহা। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের উদ্বুদ্ধ করছেন। রাহুল সিনহার দাবি, হিংসার পিছনে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা রয়েছেন, এখানকার শান্তিকামী মুসলিম সম্প্রদায় নয়।
পাশাপাশি, রাহুল সিনহা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সম্প্রদায়ের সতর্ক হওয়া উচিৎ। তাঁদের নাম দাঙ্গাবাজরা যেন কলঙ্কিত করতে না করে। জনসাধারণের সম্পত্তি নষ্টকারীদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তার কথা উল্লেখ করে রাহুল সিনহা জানান, আসলে একটি ‘রুটিন বিবৃতি’ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির এই নেতা বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কার্যকর করার পর রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া হিংসাত্মক পরিস্থিতি সামলানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী খুব কমই ভূমিকা নিয়েছেন। যদি এই ধরণের অশান্তির ঘটনা অব্যাহত থাকে, তবে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন চাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবে না।
তবে এবারই প্রথম নয়, বিজেপি অতীতেও প্রায়শই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটব্যাঙ্কের জন্য মুসলিম তোষণের অভিযোগ এনেছে। এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বিরোধী দল থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসাধারণের সম্পত্তি ধ্বংস করার এই তোষণের রাজনীতিকে উৎসাহিত করেছিলেন।