বাংলাদেশে পল্লীকবি রাধাপদ রায়কে বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার স্বভাবকবি খ্যাত পল্লীকবি রাধাপদ রায়ের (৮০) ওপর অতর্কিত হামলা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে নিজ গ্রামে কবির ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হয়েছেন বাংলাদেশের বিশিষ্টজনরা। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও দুই অভিযুক্তই পলাতক। এখনও পর্যন্ত তাদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম (৩৮) পল্লীকবির ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বাঁশের লাঠি দিয়ে বৃদ্ধ কবিকে বেধড়ক পেটায় সে। তবে কি কারণে হামলা করেছে তা কবি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। আহত কবি রাধাপদ রায় বলেন, ‘শনিবার সকালে বাড়ির পাশের ডুবুরির ব্রিজের পাড়ে রফিকুল হঠাৎ করে আমার ওপর হামলা শুরু করে। আমার ঘাড়ে ও পিঠে বেধম মারপিট করে।’ কবির পিঠের অনেক স্থানে ফেটে ক্ষত হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে কবির ওপর হামলা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জানি না কেন সে হামলা করলো। তার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তবে মাস ছয়েক আগে রফিকুলের বড় ভাই কদুর আলির সঙ্গে একটা বিষয় নিয়ে সামান্য তর্ক হয়। তার বড় ভাইয়ের ইন্ধনে সে এটা করতে পারে।’
রফিকুল ওই ইউনিয়নের কচুয়ারপাড় গ্রামের মৃত মহম্মদ আলীর ছেলে, ঘটনার পর থেকে সে গা-ঢাকা দিয়েছে। হামলার ঘটনায় কবির ছেলে যুগল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে নাগেশ্বরী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কবির ছেলে যুগল চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমার বাবার মতো সহজসরল মানুষ খুব কম হয়। দূরদূরান্তে থেকে লোকজন আসে তার মুখ থেকে কবিতা শোনার জন্য।’
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে কবি, শিল্পী, ব্লগারের উপর মৌলবাদী হামলা এবং হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে একটাও ঘটনার যথাযথ বিচার হয়নি।
উল্লেখ্য, পুজোর মরসুম এগিয়ে আসছে আর বাংলাদেশ থেকে একের পর এক দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের খবর সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ এবং নড়াইলে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।