Wednesday, April 24, 2024
দেশ

রাম রহিমের ডেরায় মহিলা হোস্টেল থেকে পোড়া হার্ডডিস্ক উদ্ধার

নিজেরই আশ্রমের দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরের ২৮ আগস্ট ডেরা সচ্চা সওদার প্রধান সেই রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ধর্ষক রাম রহিম তার পর থেকেই  শ্রীঘরে। কিন্তু তার পরও খবরে  উঠে আসছে ধর্ষক বাবার নাম। রাম রহিমের ডেরায় মহিলাদের হোস্টেল থেকে পাওয়া গেছে কয়েকটি পোড়া হার্ডডিস্ক। সেই হার্ডডিস্কগুলোই পরীক্ষা করে দেখার দায়িত্ব নিয়েছে এফবিআই। এই হার্ডডিস্কের পিছনেও আরো কোন রহস্য রয়েছে কী-না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জানা গেছে, নতুন বছরের শুরুতেই ডেরা সচ্চা সওদাতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। মহিলাদের হোস্টেলের বাইরে জঞ্জালের মধ্যে থেকে কয়েকটি পোড়া হার্ডডিস্ক উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেগুলির মধ্যে কয়েকটি এক্সটারনাল হার্ডডিস্কও ছিল। হার্ডডিস্কগুলি কেন পুড়িয়ে ফেলা হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, হার্ডডিস্কগুলিতে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল, যাতে আরও বড় বিপদে পড়তে পারতেন রাম রহিম ও হানিপ্রীত। অথবা কোনও বিস্ফোরক পরিকল্পনার ব্লু-প্রিন্ট ছিল। তাই সেগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, হরিয়ানার ডেরা সচ্চা সওদার এই প্রধান ধর্মগুরুর পুরো নাম গুরমিত রাম রহিম সিং। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার শহর ও গ্রামাঞ্চলে ডেরা সাচার বহু কেন্দ্র রয়েছে।  গত ২৮ অাগস্ট, নিজেরই আশ্রমের দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা রাম রহিমের ২০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়। বহু চেষ্টা করেও এই শাস্তি এড়াতে পারেনি রাম রহিম। রাম রহিমের ছায়াসঙ্গিনী হানিপ্রীতও এখন জেলের ঘানি টানছে।

২০০২ সালে নিজের দুই নারী শিষ্যকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রাম রহিম সিংহের বিরুদ্ধে। অজ্ঞাতনামা ওই ধর্ষিতারা গুরুর নামে অভিযোগ করে চিঠি পাঠান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ীর কাছে। সেই চিঠির ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট মামলা করে রাম রহিমের বিরুদ্ধে। পরে এই অভিযোগ তদন্ত করে দেখার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেয় আদালত। দীর্ঘ ১৫ বছর পর গত ২৮ আগস্ট দুই নারীর করা পৃথক দুই মামলায় রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।