Wednesday, April 24, 2024
শিক্ষাঙ্গন

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস সম্পর্কে কিছু তথ্য

১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো সেপ্টেম্বর মাসের ৮ তারিখকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরা।

প্রতি বছর একটি বিশেষ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সে বছর সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে  ‘Reading the past, writing the future’ অর্থাৎ ‘অতীতকে জানব, আগামীকে গড়ব’।

আমরা জানি, সাক্ষরতা প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক ও মানবীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দারিদ্র্য বিমোচন, শিশু মৃত্যু রোধ, সুষম উন্নয়ন এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সাক্ষরতা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে গণ্য হয়।

সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন প্রত্যেক মা-বাবাই তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে উৎসাহিত হন। মা-বাবার প্রচেষ্টায় তখন সন্তানেরা শিক্ষাগ্রহনে উৎসাহ পান এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তারা নিজেদেরকে তথা সমাজকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হয়।

সাক্ষরতার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির কেবলমাত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নই ঘটে তা নয় বরং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানসিক মুক্তিও ঘটে। একজন সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষ যিনি লিখতে ও পড়তে পারবেন, তিনি খুব সহজে জানতে পারবেন দেশ ও দেশের বাইরে কোথায় কী ঘটে চলেছে।

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে ভারতের প্রায় ২৪২ মিলিয়ন(১ মিলিয়ন= ১০লক্ষ) মানুষের নূন্যতম সাক্ষরজ্ঞান নেই।

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতে গড় সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪% । পুরুষ সাক্ষরতার হার ৮২.১৪% এবং মহিলা সাক্ষরতার হার ৬৫.৪৬% । কেরালা সবচেয়ে সাক্ষর রাজ্য(৯৩.৯১%) এবং বিহারে সাক্ষরতার হার সবচেয়ে কম(৬৩.৮২)। পশ্চিমবঙ্গে সাক্ষরতার হার ৭৭.০৪% ।