চোদ্দ পুরুষের সম্পত্তিকে নিজেদের বলে দাবি ওয়াকফের! বিপাকে কেরালার ৬০০ খ্রিস্টান পরিবার, বিল পাশ হতেই বিজেপিতে যোগ
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ৪০০ একর জমি—যেখানে চোদ্দ পুরুষ ধরে বসবাস করে আসছেন মুন্নামবামের প্রায় ৬০০ পরিবার। এদের অধিকাংশই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। সম্প্রতি পাস হওয়া Waqf Amendment Bill তাদের মনে আশার আলো জাগিয়েছে। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড দাবি করেছে, সেই জমি আসলে ওয়াকফ সম্পত্তি। আর ঠিক এই মুহূর্তেই জমির অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়লেন গ্রামের ৫০ জন বাসিন্দা।
জমি হারানোর আশঙ্কা, মাথায় হাত
সংসদের উভয় কক্ষে Waqf Amendment Bill পাশ হওয়ার পর থেকেই উত্তাল মুন্নামবাম। স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনও রকম নোটিশ ছাড়াই বোর্ড দাবি করেছে যে জমিগুলি ওয়াকফ সম্পত্তির আওতায় পড়ে। এই দাবি মানতে নারাজ বাসিন্দারা। গত ১৭৪ দিন ধরে তাঁরা ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিজেপির সঙ্গে ‘নতুন ভরসা’
শনিবার মুন্নামবাম পরিদর্শনে আসেন কেরলের বিজেপি সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেই তিনি বলেন, “এই আন্দোলন সংসদে গর্জে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই আপনারা আপনাদের জমির মালিকানা ফিরে পাওয়ার শক্তি পেয়েছেন। যতদিন না অধিকার ফিরে পান, বিজেপি আপনাদের সঙ্গে আছে।”
এদিন ৫০ জন স্থানীয় বাসিন্দা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁরা কেউ আগে কংগ্রেস, কেউ বা সিপিএমের সমর্থক ছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্বাসে পরিবর্তনের পেছনে প্রধান কারণ—‘ভরসার অভাব’।
‘কেউ কথা রাখেনি’
যাঁরা এদিন পদ্মচিহ্ন হাতে তুলে নিলেন, তাঁদের বক্তব্য, কংগ্রেস ও সিপিএম বরাবরই মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক রক্ষার রাজনীতি করে এসেছে। যদিও এলডিএফ ও ইউডিএফ উভয়েই দাবি করছে তারা মুন্নামবামের মানুষের পাশে রয়েছে, বাস্তবে বিলের সংশোধনের সময় তাঁরা বিরোধিতা করেননি। সেই কারণেই বিজেপিই এখন তাঁদের কাছে ‘ভরসার ঠিকানা’।
রাজনৈতিক পালাবদলের ইঙ্গিত?
কেরলের মত এক রাজ্যে যেখানে বিজেপির সংগঠন এখনো তুলনামূলক দুর্বল, সেখানে খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চলে এমন যোগদানের ঘটনা একটি বড় রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রয়োজনিয়তা
পাশাপাশি, এই ঘটনা ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রয়োজনিয়তার দিকটাও তুলে ধরলো।