Saturday, April 20, 2024
কলকাতাদেশ

তৃণমূলের ৩০ জন বিধায়ক বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন

কালনা, ১৯ সেপ্টেম্বর : পালে হাওয়া লাগলে তরী তো তরতরিয়ে চলবেই। বর্তমানে মোদীজীর অবস্থা ও তথইবচ। একের পর এক নেতা তার পালে বেশ হাওয়া দিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে তৃণমূল শিবির।

গতকাল বিজেপি নেত্রী রাজকুমারী কিশোরী কালনার পাথরঘাটায় জনসভায় বলেন “কম করে তৃণমূলের ৩০ জন বিধায়ক ফোনে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিধায়কগণ বলছেন, খুব শিগগিরই আমরা বিজেপি শিবিরে যোগ দেব।” তবে রাজকুমারী কিশোরীর মক্তব্যকে মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।

কালনার পাথরঘাটায় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভানেত্রী রাজকুমারী কেশরী, জেলা সম্পাদক সুজিত মজুমদার, জেলা সহ সভাপতি সৃষ্টিধর সরকার, ব্লক সভাপতি  আনন্দ তালুকদার প্রমুখ দলীয় নেতৃবৃদ্ধ।

সভার প্রথমেই তৃণমূলকে আক্রমণ করে রাজকুমারী কিশোরী বলেন, “Communist Party of India-র আমলে ছিল ধর্ষণ, আর দিদির আমলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গণধর্ষণ। বাংলার মাটি গণধর্ষণে ১ নম্বর হয়েছে।”

চিটফান্ড প্রসঙ্গ তুলে মমতা ব্যানার্জির তীব্র সমালোচনা করে কেশরী বলেন, “চিটফান্ডে চুরি করেছে দিদির বিধায়ক, সাংসদরা। দিদির সঙ্গে যারা থাকবে তারা নরকে যাবে। দিদির হিরো (তাপস পাল) তো এখন ওড়িশায়। ওড়িশার বিজেপি নেতারা জিজ্ঞাসা করেন, জগন্নাথকে পাঠিয়ে দিলেন, বলরামকে পাঠিয়ে দিলেন, সুভদ্রাকে পাঠাবেন না ? তাপস পাল, সুদীপ ব্যানার্জি জেল খাটলো। আর মুখ্যমন্ত্রী কি করলেন ? কিছু করতে পারলেন না ? করতে পারবেনও না। সবাই জেলে যাবে, চিন্তা করবেন না।”

রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তৃণমূলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “দিদি বলছেন মোদিজিকে আটকাতে। ঠিক আছে মোদিজি কাজ করছেন না। মোদিজি চুরিও করেন না। মোদিজি তো আপনার মতো চোর নন। আপনি তো চুরি করেন।”

সূত্র- Eenadu India