Wednesday, April 17, 2024
দেশ

ভোপালে প্রকাশ্যে গণধর্ষণ নিয়ে তোলপাড়, মেয়ের ধর্ষণকারীকে তাড়া করে ধরলেন বাবা

ভোপাল: মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভোপালে রাস্তার ধারে প্রকাশ্যে গণধর্ষণের শিকার এক তরুণী থানায় থানায় ঘুরেও পুলিশের কাছ থেকে কোন সাহায্য পাননি। অথচ তার বাবা-মা দুজনেই রেল পুলিশে চাকরি করেন। এরপর বাবা নিজেই রাস্তায় ধর্ষণকারীদের একজনকে তাড়া করে আটক করলেন।

১৯ বছর বয়সী এক তরুণী সন্ধ্যেবেলায় একটি কোচিং ক্লাস থেকে বাড়ি ফিরছিল ভোপালের অতি ব্যস্ত হবাবিগঞ্জ রেলস্টেশনের পাশ দিয়ে। সেখানেই দুই ব্যক্তি মদ্যপান করার সময়ে মেয়েটিকে টেনে নিয়ে যায় পাশের একটি কালভার্টের কাছে। সেখানে প্রায় তিনঘন্টা ধরে ধর্ষণ করা হয় তাকে।

পুলিশের কাছে জমা দেওয়া অভিযোগে মেয়েটি জানিয়েছে সে দীর্ঘক্ষণ ধরে তার ধর্ষকদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গেছে ছাড়া পাওয়ার জন্য। কিন্তু একসময়ে তারা মেয়েটিকে বেঁধে ফেলে। তারপরেই নির্যাতন শুরু হয়।

এমনকি তারা বিড়ি- সিগারেট খাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে বিরতিও নিচ্ছিল বলে মেয়েটি জানিয়েছে। একসময়ে আরও দুজন যোগ দেয় ধর্ষকদের সঙ্গে। প্রায় তিনঘন্টা অত্যাচার চালানোর পরে ছাড়া পায় মেয়েটি।

প্রথমেই সে কাছের রেল পুলিশ ফাঁড়িতে যোগাযোগ করে, কিন্তু তার অভিযোগ গ্রহণ করা হয় নি। মেয়েটির বাবা, মা দুজনেই রেলপুলিশেরই কর্মকর্তা। তারপরও তাঁর অভিযোগ না নেওয়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। তারপরই নয়া মোড় নেয় ঘটনা। বুধবার, গলু ও অমর নামের দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করেন নির্যাততা ও তাঁর বাব-মা।

ভোপালের অতিরিক্ত রেলপুলিশ সুপার ধর্মেন্দ্র সিং সেটা স্বীকারও করলেন।

মি. সিংয়ের কথায়, “ঠিকই, এফআইআর দায়ের করতে কিছুটা দেরী হয়েছে। সেদিন রাতে অভিযোগ কেন জমা পড়ে নি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরের দিন সকালে নির্যাতিতা মেয়েটি আসার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”

থানা থেকে মেয়েকে নিয়ে ফেরার পথেই মেয়েটি একজন ধর্ষককে দেখে চিনতে পারে। তার পুলিশ কর্মকর্তা বাবা দৌড়ে গিয়ে একজন ধর্ষককে ধরে ফেলেন।

পুলিশ তারপরে বাকিদের গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে একজন সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অভিযোগ দায়ের করতে না চাওয়া নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ চলেছে ভোপালে। বিক্ষোভের জেরে আজ সরকার আরও ৫ জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। বিবিসি