বেতন মাত্র ৫২৫০ টাকা, ৬ দফা দাবিতে আশা কর্মীদের বিক্ষোভ
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে তমলুক ও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার প্রধান স্বাস্থ্য আধিকারের কাছে ছয় দফা দাবিতে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই কর্মসূচিতে আশা কর্মীরা তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক ও অন্যান্য দাবি আদায়ের জন্য সোচ্চার হন।
বেতন মাত্র ৫২৫০ টাকা
আশা কর্মীরা মূলত মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত থাকেন। তবে করোনার পর থেকে তাদের ওপর নতুন নতুন দায়িত্ব দেওয়া হলেও সেই কাজের জন্য তারা কোনো পারিশ্রমিক পান না। রাজ্য সরকার বর্তমানে তাদের মাত্র ৫২৫০ টাকা বেতন দেয়, যা বর্তমান বাজারদরের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তাছাড়া, বিভিন্ন ইনসেন্টিভের টাকা ৩-৪ মাস পর্যন্ত বকেয়া থাকে, যা তাদের আর্থিক অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলেছে। এবারের বাজেটেও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার আশার পারিশ্রমিক বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো ঘোষণা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কর্মীরা।
একাধিক দাবি
শুধু বেতন বৃদ্ধি নয়, কর্মরত অবস্থায় বহু আশা কর্মীর মৃত্যু হলেও তাদের পরিবারকে কোনো আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়নি। সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই ন্যায্য দাবির ভিত্তিতে এই ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
ডেপুটেশনের নেতৃত্ব দেন রাজ্য সভানেত্রী কৃষ্ণা প্রধান, জেলার যুগ্ম সম্পাদিকা ইতি মাইতি ও মানসী দাস, জেলা সভানেত্রী শ্রাবন্তী মণ্ডল, সহ সভানেত্রী মহুয়া রায়, সহ সম্পাদিকা অনিমা আদক ও সেলী সামন্ত। এছাড়া, এআইইউটিইউসি’র সর্বভারতীয় কমিটির সদস্য কমরেড জ্ঞানানন্দ রায়-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
এই কর্মসূচির মাধ্যমে আশা কর্মীরা তাদের ছয় দফা দাবি নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ না হলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।