Saturday, October 5, 2024
কলকাতা

এবার আচার্য সদনের কাছে বিক্ষোভ দেখাল মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত SSC শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের ন্যায্য চাকরি চাইতে গিয়ে আচার্য সদনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে পুলিশি অত্যাচার এর সম্মুখীন হলো ২০১৬ নবম-দ্বাদশ স্তরের ২৪৩ দিন অনশনরত মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থীরা। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ২০১৯ সালে প্রেস ক্লাবের সামনে নবম-দ্বাদশ স্তরের বঞ্চিত মেধাতালিকাভুক্ত শিক্ষকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি সম্পর্কে অবগত হয়ে। তিনি বলেছিলেন মেধাতালিকাভুক্ত সকল প্রার্থীর চাকরি তিনি সুনিশ্চিত করবেন।তার উপর ভরসা রাখতে। তিনি কথা দিলে কথা রাখেন। তাহলে কেন ২০০ দিন এর ও বেশী সময় ধরে ন্যায্য চাকরী চাইতে গিয়ে শীত;ঝড়; মহামারীর প্রচণ্ডতাকে উপেক্ষা করে অনশন ও অবস্হান বিক্ষোভ করতে হবে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম দফায় ডাক পেয়ে? মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত সকল মেধাতালিকাভুক্ত চাকরী প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ ও কেনো পুজোর মরসুম গুলো তাদের রাস্তায় কাটাতে হয়? কেনো আত্মঘাতী হয় মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থী? কেনো কৃষক মেহেনতি মজদুর সমাজের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় পাশ করেও দুর্নীতির শিকার হয়ে বঞ্চিত ই থেকে যায়? কেনো দুর্নীতির বলি হতে হয় শিক্ষিত মেধার?এটাই কি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষিত মেধার চরম পরিণতি? অসহায় সন্তান হারা মায়ের কান্না শুনতে পাচ্ছেন মাননীয়া? বঞ্চিতদের সমস্যা সমাধানের জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর পুনরায় হস্তক্ষেপ চাইলেন তার প্রতিশ্রুতির উপর ভরসা করে সম্পুর্ণ অরাজনৈতিকভাবে ২০০ দিন অতিক্রান্ত আন্দোলনকারী মেধাতালিকায় প্রথম দফায় ডাক পেয়েও সুপরিকল্পিত ভাবে বঞ্চিত হবু শিক্ষকরা।

বঞ্চিত মেধাতালিকাভুক্ত আন্দোলনকারী এম ডি রাকিব হোসেন;সুখেন সরকার;প্রথমা মিত্র; আবু নাসের;সৈরুদ্দিন;মিঠুন বিশ্বাস;কুদরতি কবির ; রেহেসান আলি; হাবিবুর রহমান; সাহেব সাউ;সুজিত শর্মা; অভিষেক সেন; রাকিব হোসেন; লক্ষী পাল;কোয়েল দে; প্রত্যুষা মৈত্র ;সালাউদ্দিন মোল্লা;খাইরুল আনম; মাসুদ আলম জানিয়েছেন;আজ স্কুল গুলো শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এদিকে মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থীরা রাস্তায় বসে আছে তাদের ন্যায্য অধিকারের দাবীতে। শীত; ঝড়; মহামারীর প্রচণ্ডতাকে উপেক্ষা করে তাদের দিন কাটে রাস্তায়। ন্যায্য চাকরীর দাবীতে মেয়েদের রাত কাটে অনশন মঞ্চে। তাদের প্রশ্ন ; যে স্কুল সার্ভিস কমিশন আজ আইন দেখাচ্ছে তারা কোন আইনে নিজের গেজেট কে লঙ্ঘন করে নাম্বার প্রকাশ না করে মেধাতালিকা প্রকাশ করে? কোন আইনে নিজের গেজেটে উল্লেখিত ১:১.৪ নিয়ম না মেনে নিয়োগ করে? কোন আইনে মেধাতালিকায় পেছনের সারিতে থাকা প্রার্থীকে আগে নিয়োগ দেয়? কোন আইনে এস এম এসে অবৈধ নিয়োগ দেয় গেজেট কে লঙ্ঘন করে? কোন আইনে অকৃতকার্য প্রার্থীরা চাকরি পায় আর কোন আইনে মেধাতালিকাভুক্ত প্রথম দফায় ডাক পেয়েও বঞ্চনার শিকার হয়?

বঞ্চিত মেধাতালিকাভুক্তরা আরো জানিয়েছেন; স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজের গেজেটকে মান্যতা দিয়েই রেশিও মেনে ১:১.৪ অনুপাতে নিয়োগ করে আইনি পথে মেধাতালিকাভুক্ত সকলের চাকরী সুনিশ্চিত করুক।তবেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির যথাযথ বাস্তবায়ণ হবে। তাদের এই অরাজনৈতিক আন্দোলন দুর্নীতির বিরুদ্ধে; ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন। তারা মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা করেন বলেই তারা আচার্য সদনে অবস্থান বিক্ষোভ করে ন্যায্য চাকরির দাবীতে।তাই তাদের পুলিশ ভ্যান এ তুললেও বা তাদের উপর পুলিশি অত্যাচার চললেও স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির বিরূদ্ধে ও ন্যায্য চাকরির দাবীতে তাদের এই লড়াই জারি থাকবে