‘আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়ার অধিকার নেই’, ওয়াকফ নিয়ে হলফনামায় সুপ্রিম কোর্টে জানালো কেন্দ্র
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই হলফনামায় মোদী সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, সদ্য প্রণীত ওয়াকফ সংশোধনী আইনের ওপর কোনওরকম অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হলে তারা তার তীব্র বিরোধিতা করবে। কেন্দ্রের বক্তব্য, সংসদে পাশ হওয়া কোনও আইনের উপর স্থগিতাদেশ চাপানো হলে তা সংবিধানের ‘ক্ষমতার ভারসাম্য’ নষ্ট করার সমান বলে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশ ওয়াকফ সংশোধনী আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে সামিল হন। একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট আপাতত নির্দেশ দেয়, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ওয়াকফ কাউন্সিলের গঠনে অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ ঘিরেই নতুন করে বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় আদালতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “সংবিধানে সংসদের উর্ধ্বে কোনও কর্তৃপক্ষের কল্পনা নেই। সংসদই সর্বোচ্চ ও শেষ কথা।” বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেও তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যদি আইন তৈরি করতে চায়, তবে সংসদের দরকার কী?”
এই উত্তপ্ত পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের তরফে পেশ করা হলফনামাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আদালতে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে যে, সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতাবিন্যাসকে সামনে রেখে সরকার আইন প্রণয়ন করেছে এবং তার রক্ষায় কোনওরকম আপস করবে না।
এদিকে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আগামী ৫ মে এই সংক্রান্ত মামলার অন্তর্বর্তী শুনানি।
