উত্তরপ্রদেশ: বেরেলিতে চিকিৎসার নামে জোর করে ৩ বছরের হিন্দু ছেলের খতনা করলো মুসলিম চিকিৎসক মহম্মদ জাভেদ
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বেরেলি জেলায় একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। এম খান হাসপাতালে ৩ বছর বয়সী হিন্দু ছেলেকে তার পিতামাতার অনুমতি ছাড়াই খতনা করা হয়েছে। তাদের শিশুকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করার পর প্রতারণার কথা জানতে পেরে হতবাক অভিভাবকরা।
হরিমোহন যাদব তার স্ত্রী পারুল যাদবের সাথে ২২ জুন তাদের ৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে এম খান হাসপাতালে যান। তারা সেখানে তাদের ছেলের রোগের পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে ভর্তি করে এবং পরে খতনা করায়।
হরিমোহন প্রতিবাদ করলে, হাসপাতাল প্রশাসন তাকে হুমকি দেয়, এবং তারা তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টাও করে, পরে স্থানীয় হিন্দু কর্মী ও মিডিয়ার সহায়তায় মামলাটি তুলে ধরা হয়।
জানা গেছে, এই ঘটনায় একটি তদন্তকারী দল গঠন করেছে বরেলি পুলিশ। বরেলির সিনিয়র পুলিশ সুপারের কাছে হরিমোহন অভিযোগ পত্র পেশ করেছেন। হরিমোহন জানিয়েছেন, তিনি সঞ্জয় নগর এলাকার বাসিন্দা। ২৩ জুন তাদের অনুমতি ছাড়াই তার ছেলের খৎনা করানো হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, হাসপাতালের প্রশাসন ইসলাম ধর্মান্ধতায় বিশ্বাসী এবং শিশুটিকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার জন্য খতনা পরিচালনা করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছে।
হরিমোহন যখন খতনা করানো ডাক্তার মহম্মদ জাভেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তখন তিনি তাকে গালিগালাজ করেন এবং তাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন।
ডাক্তার ফাসিল ভিকটিমের পরিবারকে হুমকিও দিয়েছেন, মামলা ফিরিয়ে না নেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ও পরিবার চায় এম খান হাসপাতাল এবং এর প্রশাসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক যারা অবৈধভাবে তাদের শিশুকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করছে।
তথ্যসূত্র: Organiser